রাউলকে পেরিয়ে মেসি
ব্যালন ডি’অরের চূড়ান্ত মনোনয়নের সময়টা ঘনিয়ে আসছে। সম্ভাব্য জয়ী হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম শোনা যাচ্ছে খুব জোরেশোরে।
এমন সময় কি আর মেসি চুপচাপ বসে থাকতে পারেন? হঠাৎ যেন তাঁকেও গোলের নেশায় পেয়েছে। তিন দিন আগে তেলমো জারাকে পেরিয়ে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। এবার ইতিহাস গড়লেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েও। অ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার বিপক্ষে পরশু রাতে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে মেসি পেরিয়ে গেছেন সাবেক স্প্যানিশ স্ট্রাইকার রাউল গঞ্জালেসকে। ইউরোপীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় ৯১ ম্যাচে মেসির গোল এখন ৭৪টি, ১৪২ ম্যাচে রাউলের গোল ৭১। এই দুজনের খুব কাছাকাছি আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত রাতে বাসেলের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত রোনালদোর গোল ছিল ৭০। সেখান থেকে রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার কত দূর এগোলেন, সেটা অবশ্য এতক্ষণে জানা হয়ে গেছে পাঠকের।
বার্সেলোনার নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এ ম্যাচের বড় আকর্ষণই ছিল তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটিকে ঘিরে। সমর্থকদের নিরাশ করেননি মেসিও। রাউলকে পেরিয়ে যান ৩৮ মিনিটে গোল করেই। কিন্তু গোলের নেশায় পেয়ে বসলে আর্জেন্টাইন জাদুকর তো এত সহজে থামবার পাত্র নন। ৫৮ মিনিটে দানি আলভেজের পাস থেকে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, হ্যাটট্রিক হয় ৮৭ মিনিটে পেদ্রোর পাস থেকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাঁ পায়ের খেলোয়াড় হলেও পরশু তাঁর তিনটি গোলই এসেছে ডান পা থেকে!
আরও একটা অর্জনের পর মেসি যথারীতি বিনয়ী। ম্যাচ শেষে শুধু বলেছেন, ‘এমন একটা টুর্নামেন্টে এ রকম একটা রেকর্ড গড়তে পেরে আনন্দিত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তিন পয়েন্ট, যেটি আমরা এই ম্যাচ জিতে পেয়েছি।’ মেসির কোচ লুইস এনরিকে অবশ্য উচ্ছ্বাস প্রকাশে এতটা সংযত থাকেননি, ‘সে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। ফুটবল খেলার রাজা এবং সে লম্বা সময় ধরে সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে যাবে।’ অসাধারণ কীর্তি গড়া মেসির বিশেষণ দিতে গিয়ে শব্দই যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না সতীর্থ পেদ্রো রদ্রিগেজ, ‘ওকে নিয়ে কী বলতে হবে আমি তা জানি না। সে-ই বিশ্বের সেরা।’
মেসির এমন কীর্তি ছাড়াও এ ম্যাচ থেকে আরও একটা প্রাপ্তি আছে বার্সেলোনার। অবশেষে বার্সার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। অ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার সঙ্গে ৪-০ গোলের জয়ে বার্সেলোনার প্রথম গোলটাই ছিল উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের।
চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন
৫৯ গোল বাঁ পায়ে
১১ গোল ডান পায়ে
৪ গোল হেডে
৭৪ গোল
ম্যাচপ্রতি গোল ০.৮১
বেশি গোলের প্রতিপক্ষ
৮ এসি মিলান
৬ আয়াক্স
৬ আর্সেনাল
৬ লেভারকুসেন
৪ প্যানাথিনাইকস
৪ স্পার্তাক মস্কো
৩ সেল্টিক
৩ এফসি কোপেনহেগেন
৩ অলিম্পিক লিঁও
৩ অ্যাপোয়েল
কোথায় কত গোল
৩৮ গোল ন্যু কাম্পে
৩৪ প্রতিপক্ষের মাঠে
২ ফাইনালে
বেশি সহায়তা
৯ ইনিয়েস্তা
৮ আলভেজ
৬ জাভি
৫ পেদ্রো
৩ অঁরি
No comments:
Post a Comment