খালেদার দুই আবেদনে আদেশ সোমবার
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা নিয়ে খালেদার দুটি আপিলের আবেদনে সোমবার আদেশ দেবে আপিল বিভাগ।
RELATED STORIES
খালেদার দুর্নীতি মামলা: আপিল আবেদনের শুনানি শুরু
2014-11-17 15:47:11.0
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রোববার আদেশের এই দিন ঠিক করে দেয়।
এছাড়া খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের সময়ের আবেদনে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছে আদালত।
এ দুটি মামলা বর্তমানে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। সোমবারই ওই আদালতে বাদীর জবানবন্দি শোনার তারিখ রয়েছে।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে করা খালেদার আবেদন ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর খারিজ হয়ে যায়।
এছাড়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার আবেদনও গত ২৩ এপ্রিল হাই কোর্ট খারিজ করে দেয়।
এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন আপিল বিভাগে আসেন। তার আপিলের আবেদনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয় গত সোমবার। তার পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন।
বুধবার পর্যন্ত ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সেদিনই অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে খালেদার আরেক আপিলের আবেদনের শুনানি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই আবেদনের ওপর শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী।
রোববার সকালে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি শুরু করেন।
এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল হক টুটুল ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এই বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও সর্বোচ্চ আদালতে এসেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন, তবে তার আবেদন নাকচ হয়ে যায়।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে।
এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ ২০১০ সালের ৫ অগাস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
তারেক রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে গত ছয় বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আছেন জামিনে। বাকি দুজন পলাতক।
২০১১ সালের ৮ অগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু হতেই পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। খালেদাসহ বাকি দুই আসামি জামিনে রয়েছেন।
গত ১৯ মার্চ এ দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিচার শুরু করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
No comments:
Post a Comment