বার্সার নাটকীয় জয়
৯০ মিনিটের খেলা শেষ। অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিটে চলে এসেছে ম্যাচ। গোলশূন্য ড্র-ই বুঝি সম্ভাব্য ফল। কিন্তু হঠাৎই নাটকীয়তা! ঘুমঘুম চোখে যারা খেলাটা দেখছিলেন, নিশ্চিত আচমকা ধড়পড়িয়ে জেগে উঠতে হয়েছে সার্জিও বুসকেটসের গোলে। ওই গোলে ১-০ ব্যবধানে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতেছে বার্সেলোনা।
বার্সা শিবির তখন উদযাপনে মত্ত। ঠিক এ সময় দর্শকের গ্যালারি থেকে ছুড়ে মারা হলো একটা বোতল! লাগল লিওনেল মেসির মাথায়! খানিকটা ব্যথা পেলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড! দর্শক চটল কেন মেসির ওপর? ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে স্বাগতিকদের যে ‘সর্বনাশ’টা করলেন বার্সা ফরোয়ার্ড, তাতে ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকদের ‘মেজাজ চড়ে’ যাওয়া কি অমূলক? ১৪ মাস পরে প্রথম গোল করলেন বুসকেটস। তাও আবার জয়সূচক! আর সে গোলের নেপথ্যে যে মেসি।
আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মাপা ক্রসটা হেডে জালে জড়াতে চাইলেন নেইমার। দক্ষতার সঙ্গে সেটা ফিরিয়ে দিলেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক ডিয়েগো আলভেজ। বল চলে এল বুসকেটসের পায়ে। অমনি বাঁ পায়ে ভলি! বার্সা মাতল বাঁধনহারা উদযাপনে!
কদিন আগে লিগে সেভিয়াকে ৫-১, চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাপোয়েলকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়া বার্সাকে আজ নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ঠিক সেভাবে দেখা গেলো না। ভ্যালেন্সিয়ার জমাট রক্ষণ ভেদ করা দূরহ কাজ হয়ে উঠল লুইস এনরিকের দলের কাছে। ৫৮ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের লক্ষ্যভ্রষ্ট শট, ৬৬ মিনিটে নেইমারের দুর্বল শট কেবল হতাশাই বাড়িয়েছে বার্সা সমর্থকদের।
তবে ৬৯ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন সুয়ারেজ। গোলটি বাতিল হয় অফসাইডের ফাড়ায় পড়ে। অফসাইডটি আদৌ হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে ভ্যালেন্সিয়া বেশ কবার প্রতিআক্রমণে কাঁপিয়ে তুলেছিল বার্সার রক্ষণভাগ। ক্লদিও ব্রাভোর দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ রক্ষা করেছে এনরিকের দলকে। প্রায় পুরো ম্যাচে মেসি-নেইমারকে দেখা যায়নি স্বরুপে। তবে শেষ মুহূর্তের ওই ঝলকটা হয়তো ভুলিয়ে দেবে অন্যান্য ব্যর্থতাগুলো।
এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগে বার্সার অবস্থান দুইয়ে। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।
No comments:
Post a Comment