Sunday, November 30, 2014

ছুটছেন পপি-নিরব

ছুটছেন পপি-নিরব


এক প্রেক্ষাগৃহ থেকে আরেক প্রেক্ষাগৃহে ছুটছেন পপি ও নিরব। নিজেদের ছবি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁদের এই ছুটোছুটি বলে জানান পপি ও নিরব।
গতকাল শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশের ৪০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পপি ও নিরব অভিনীত ছবি চার অক্ষরের ভালোবাসা। জুটি হিসেবে এটি তাঁদের প্রথম ছবি। তাই ছবিটিকে নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনার শেষ নেই। ছবিটিকে কীভাবে দর্শকদের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন তাঁরা।
নিরব জানান, ‘ছবি দেখতে আসা আগ্রহী দর্শকদের দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। আর ছবি দেখা শেষে তাঁদের প্রতিক্রিয়া আরও বেশি মুগ্ধতার জন্ম দিয়েছে। তবে সবার কাছ থেকে ছবিটির গল্পের জন্য খুব প্রশংসা পেয়েছি।’ 
এদিকে পপি জানান, ‘দর্শকদের কারণেই আমি পপি হয়েছি। তাঁদের ভালোবাসা বরাবরই আমাকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করে। তাই প্রেক্ষাগৃহে বসে দর্শকদের সঙ্গে ছবি দেখার মধ্যে অন্য রকম একটা আনন্দ খুঁজে পাই। পাশে বসে তাঁরা যেসব মন্তব্য করেন, তা বেশ গুরুত্ব দিয়ে আমি বিবেচনা করি। চার অক্ষরের ভালোবাসা ছবিটি নিয়ে এখন পর্যন্ত যে দর্শক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, তা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আনন্দের।’
চার অক্ষরের ভালোবাসা ছবির মধ্য দিয়ে তিন বছর পর পপি ও দেড় বছর পর নিরবের দেখা মিলল প্রেক্ষাগৃহে। নিরবের মতে, দেড় বছরের বিরতির পরও দর্শকেরা যেভাবে তাঁকে গ্রহণ করেছেন, তা খুবই ভালো লেগেছে।

‘টম অ্যান্ড জেরি’ই বটে!

‘টম অ্যান্ড জেরি’ই বটে!


জেরিকে পাকড়াও করে নিয়ে যাচ্ছে দুশমনের দল। টম মার খেয়ে পড়ে আছে পেছনে। হাত বাড়িয়ে জেরির চিৎকার, ‘টঅঅম!’ ওদিকে টমের কানে মন্ত্র পড়ে দিচ্ছেন তাঁর চাচা, ‘ওঠ টম! ওঠ!’ ব্যস, জাদুমন্ত্রের মতো লাফিয়ে উঠল টম। ঝাঁপিয়ে পড়ল শত্রুদের ঘাড়ে।
কার্টুন ছবির টম আর জেরি যদি এমন দৃশ্যে ‘অভিনয়’ করত, দেখে ফিক করে হেসে ফেলতাম নিশ্চিত। কিন্তু স্বপ্ন যে তুই সিনেমার নায়ক টম (ইমন) আর নায়িকা জেরির (আঁচল) এমন ‘টানটান উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য’ দেখে হেসে ফেলাটা ভালো দেখায় না। অতএব স্টার সিনেপ্লেক্সে আমরা গুটিকয়েক দর্শক মুখে দুশ্চিন্তা ফুটিয়ে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকি। ছবি দেখতে বসে মজার দৃশ্যে হাসবেন না, মন খারাপ করা দৃশ্যে পকেট থেকে টিস্যু পেপার বের করবেন না, তা কি হয়?
একটা হাসির দৃশ্যের উদাহরণ দিই। কলেজে ক্লাস হচ্ছে। হঠাৎ কার যেন মুঠোফোন বেজে উঠল। ‘কার ফোন বাজছে? বের হও, এক্ষণ ক্লাস থেকে বের হও।’—এই বলে শিক্ষক ক্লাস থেকে একে একে সব শিক্ষার্থীকে বের করে দিলেন। পরে দেখা গেল, এতক্ষণ তাঁর নিজের মুঠোফোনেই রিং হচ্ছিল।
কী মজার ঘটনা! হাসি পেল কি না বলেন? না পেলে ভাই আপনার রসবোধ অত্যন্ত দুর্বল! এমন অনেক ‘মজার মজার ঘটনা’ পাবেন স্বপ্ন যে তুই সিনেমায়। ছবির গল্পটাও ছোট করে বলি। টম ভালোবাসে প্রেমাকে (আফ্রি)। প্রেমাকে পেতে টমকে সাহায্য করে জেরি আর তার বন্ধুরা। প্রেমার সঙ্গে প্রেম যখন জমে উঠেছে, তখনই টম আবিষ্কার করে, সে আসলে জেরিকে ভালোবাসে। প্রেমাকে ছেড়ে টম ফেরে জেরির কাছে, কিন্তু তত দিনে জেরি আরেকজনের হবু বউ। এবার টম শুরু করে জেরির মন জয়ের চেষ্টা।
মনিরুল ইসলাম পরিচালিত ছবিটির বড় শক্তি হিসেবে ছিলেন তিন মীরাক্কেল তারকা—আবু হেনা রনি, আনোয়ারুল আলম সজল ও জামিল হোসেন। তিন মেধাবীর সেভাবে সঠিক ব্যবহার হলো কই? আবহসংগীতের ব্যবহারে পরিচালক অবশ্য বেশ ‘উদার’। বলিউডের কিষ্ণা ছবির একটি সুরসহ ‘কমন’ পড়ে গেল আরও বেশ কিছু আবহ।
রঙিন ছবিটায় রঙের ছড়াছড়ি। পাত্রপাত্রীদের পোশাক আর আশপাশের উজ্জ্বল রং বেশ নজরকাড়া। গানের দৃশ্যায়ন ভালো। গল্প, নির্মাণ, কলাকুশলীদের অভিনয়—সবকিছু মিলিয়ে স্বপ্ন যে তুই কেমন, সে বিচার নাহয় হলে গিয়েই করুন।

একুশ বছর পর

একুশ বছর পর


সবচেয়ে বেশি ভক্ত আছে বলিউডের এমন তারকাদের তালিকা করলে অনায়াসেই প্রথম সারিতে জায়গা করে নেবেন ‘দাবাং’ তারকা সালমান খান। প্রতিদিন শত শত ভক্তের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। দুই দশক আগে কেরালার মালাবার পাহাড়ি এলাকার প্রতিবন্ধী এক ভক্ত পরশ মেহতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সালমান। দীর্ঘ ২১ বছর যোগাযোগ না থাকলেও আজও সেই ভক্তের নাম মনে রেখেছেন তিনি।
ফেসবুকে সবচেয়ে জনপ্রিয় সালমান
বরাবরই ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সালমান। বিনিময়ে ভক্তদেরও উজাড় করে ভালোবাসা দিয়েছেন। ভক্তেরা তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ পরশ মেহতার নাম মনে রেখে তারই যেন প্রমাণ দিলেন ৪৮ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা। পরশ মেহতার বয়স এখন ৪২। তিনি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী।
সালমানের বন্ধু ছায়া মোমায়া বলেন, ‘মালাবার পাহাড়ি এলাকার সুপরিচিত একটা গয়না কারিগর পরিবারের সদস্য পরশ। তিনি সালমানের বিশাল একজন ভক্ত। পরশের পরিবারের সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিবেশক প্রয়াত দিনেশ গান্ধীর মুখে প্রথম সেই ভক্তের কথা জানতে পারেন সালমান। পরশ সম্পর্কে জানার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে মালাবার যান সালমান। দুই দশক আগের ঘটনা এটা।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটাই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।
ছায়া আরও বলেন, ‘পরশ মেহতার সঙ্গে সালমানের সাক্ষাতের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। সম্প্রতি আমি তাঁকে বলি, মালাবার পাহাড়ি এলাকার একজন ভক্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। তখন সালমান বললেন, ‘‘তুমি কি পরশের কথা বলছ?’’ ২১ বছর পরও একজন ভক্তের নাম সালমান মনে রেখেছেন—বিষয়টি জেনে আমি যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি।’

সেন্সরে ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’

সেন্সরে ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’


সেন্সরে জমা পড়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’। ছবিটির পরিচালক মান্নান হীরা। সেন্সরের ছাড়পত্র পেলে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই ছবিটি মুক্তি দেবেন বলে জানিয়েছেন মান্নান হীরা।
মান্নান হীরা নতুন চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘মঞ্চ, টিভিতে আমার বহু নাটক নিয়ে কাজ হয়েছে। দীর্ঘদিনের একটা স্বপ্ন ছিল মুক্তিযুদ্ধের ওপর পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি বানাব। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। সরকার একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে যে পরিমাণ অনুদান দেয় তাতে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব নয়। তবু সাধ্যমতো চেষ্ট করেছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে নানা ধরনের, নানা বয়সের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল তারই প্রতিফলন দেখা যাবে চলচ্চিত্রটিতে।’ তিনি বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র গল্পের মধ্যে নাটক আবার নাটকের মধ্যে গল্প। এখানে দর্শক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতবর্ষের ক্ষুদিরামকে খুঁজে পাবেন।’
গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এফডিসিতে ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ চলচ্চিত্রের শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন লোকেশনে এর দৃশ্য ধারণের কাজ হয়। টানা শুটিংয়ের পর ডিসেম্বরে ছবিটির কাজ শেষ হয়। এর আগে মান্নান হীরা ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘একাত্তরের রংপেন্সিল’ নামের আরও দুটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে নির্মিত ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ ছবির অভিনয়শিল্পীরা হলেন মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, ইনামুল হক, মোমেনা চৌধুরী, মুনসি মজনু। শিশুশিল্পীদের মধ্যে আছে স্বচ্ছ, রুদ্র, শাকিল, অন্তরা, মধুমনি, মুন্না, জুয়েল মিজি প্রমুখ।

বাবার স্ট্যান্ডি জড়িয়ে চুমু খেল সঞ্জয়-কন্যা ইকরা

বাবার স্ট্যান্ডি জড়িয়ে চুমু খেল সঞ্জয়-কন্যা ইকরা


সঞ্জয় দত্তের স্ট্যান্ডিতে হাত রেখে যেন বাবার স্পর্শ পেতে চাইছে ছোট্ট ইকরাঅস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্তের মেয়ে ইকরার বয়স মাত্র চার বছর। সঞ্জয় অভিনীত ‘উংলি’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। ছবিটি দেখতে গিয়ে বাবার স্ট্যান্ডি ইকরার চোখে পড়ে। দেখামাত্রই সে স্ট্যান্ডির দিকে ছুটে যায় এবং জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। এভাবে বাবার প্রতি তীব্র ভালোবাসা ও তাঁর শূন্যতা যে তাকে আকুল করে রেখেছে তা প্রকাশ করে ছোট্ট ইকরা।
জন্মদিনে মান্যতা ও বন্ধুদের চিঠি পেয়েছেন সঞ্জয়
অস্ত্র মামলার দণ্ডে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে সাজা খাটছেন বলিউডের প্রভাবশালী তারকা অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। অনেক দিন বাবাকে কাছ থেকে দেখতে না পেয়ে তাঁর শূন্যতা ভালোই টের পাচ্ছে ইকরা। শুক্রবার সে ‘উংলি’ ছবির প্রদর্শনী দেখতে মা মান্যতা দত্ত ও যমজ ভাই শরণের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে যায়। সেখানে বাবার স্ট্যান্ডি দেখে ছুটে যায় ইকরা। শুধু তা-ই নয়, জড়িয়ে ধরে চুমুও খায়। আবেগপূর্ণ এক মুহূর্তের জন্ম হয় সেখানে। বিষয়টি মান্যতাসহ সেখানে উপস্থিত সঞ্জয়-ভক্তদের ভীষণভাবে নাড়া দেয়।
হাসপাতালে সঞ্জয়ের মেয়ে ইকরা
এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ‘উংলি’ ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশের সময় সেখানে রাখা সঞ্জয়ের স্ট্যান্ডি খেয়াল করেনি ইকরা। বিরতির সময় বাবার স্ট্যান্ডি তার চোখে পড়ে। দেখার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জয়ের স্ট্যান্ডির দিকে ছুটে যায় সে এবং জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। সে সময় খুশিতে ইকরার চোখ-মুখ ঝলমল করছিল। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, বাবাকে কাছে পেয়ে বাবার স্নেহের স্পর্শ যেন নিতে চাইছে সে।
দুবাই থেকে ফিরে ভ্রমণের ক্লান্তি থাকলেও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ঠিকই ‘উংলি’ ছবির প্রদর্শনী দেখতে যান মান্যতা। কারণ সঞ্জয়-ভক্তদের জন্য বিশেষ ওই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। শুরুতে ছবিটি দেখতে যেতে চায়নি ইকরা। বাবা ছবিটিতে অভিনয় করেছে জানার পর প্রেক্ষাগৃহে যেতে সে রাজি হয়। সাধারণত পুরো ছবি দেখার ধৈর্য থাকে না ইকরার। কিন্তু ‘উংলি’ ছবির পুরোটাই সে দেখেছে।

রিয়াল মাদ্রিদের টানা ‘১৬’

রিয়াল মাদ্রিদের টানা ‘১৬’


টানা ষোড়শ ম্যাচে জয় তুলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটি ব্লাঙ্কোসদের নতুন এক রেকর্ড। শনিবার রাতে ইউরোপ-সেরা দলের জয় মালাগার বিপক্ষে, ২-১ গোলে। এই জয়ে ১৩ খেলায় ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে চলে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। একটি ম্যাচে কম খেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার অবস্থান তালিকার দুইয়ে, ২৮ পয়েন্ট নিয়ে।
লা লিগায় এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো গোল পাননি ​ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের পা থেকে আসা দুই গোল রোনালদোর গোলহীন সন্ধ্যাকে ঢেকে দেয় দারুণ কৃতিত্বের সঙ্গেই। গোল না পেলেও রিয়ালের দুটি গোলেই অবদান আছে রোনালদোর।
মালাগার গোলরক্ষক কার্লোস কামেনির কথা না বললেই নয়। অপূর্ব নৈপুণ্যে তিনি মালাগাকে ম্যাচে রেখেছিলেন সারাক্ষণই।খেলার ১৮ ও ৮৩ মিনিটে বেনজেমা ও বেলের দুই গোলই ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় খেলাটির। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মূহূর্তে সান্তা ক্রুজের গোল সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি মালগাকে। তবে পুরো খেলায় নিজেদের পারফরম্যান্সে অখুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই মালাগার।
বাসেলের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন ক্যাসিয়াস, দানি কারভাহাল ও মার্সেলোর মতো খেলোয়াড়েরা। মালাগার বিপক্ষে এঁদের নিয়েই একাদশ তৈরি করেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কোচের আস্থার প্রতিদান অবশ্য এঁরা প্রায় সবাই দিয়েছেন পুরোপুরিই।
খেলার শুরুতেই বেলের দারুণ এক প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন ক্যামেরুনিয়ান গোলরক্ষক কামেনি। খুব কাছ থেকে নেওয়া রোনালদোর আরও একটি প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় কামেনির সামনে। খেলার ১৪ মিনিটে সান্তা ক্রুজের শট কোনো মতে হাক ছুঁয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস।
নিজেদের মাঠের দখলটা যখন মালগা সবে হাতে নেওয়া শুরু করেছে, ঠিক তখনই রিয়ালের ধ্রুপদী প্রতি-আক্রমণের শিকার হয়ে পিছিয়ে পড়তে হয় তাঁদের। ম্যাচের ১৮ মিনিটের সময় খুব দ্রুতগতিতে বল নিয়ে ঢুঁকে মালাগার সীমানার বামপ্রান্ত থেকে নিচু ধরনের এক ক্রস বক্সে ফেলেন রোনালদো। সেই ক্রস থেকে গোল করতে ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমাকে কোনো বেগই পেতে হয়নি। যদিও মালাগার রক্ষণ গোলটির ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল গোল করার আগে বেনজেমা মালাগার ওয়েলিংটনকে ফাউল করেছেন। যদিও সেই দাবির প্রতি মনোযোগ দেবার কোনো কারণ খুঁজে পাননি রেফারি।
প্রধমার্ধের মাঝামাঝি সময়েই সের্গি দারদেরের শট ক্যাসিয়াসের হাত ফসকালেও বিপদের কারণ হয়নি রিয়ালের জন্য। এর কিছু পরেই বেলের একটি প্রচেষ্টা রীতিমতো তাঁর পায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন মালগা গোলরক্ষক কামেনি। বেল গোলের এই সুযোগটি পেয়েছিলেন রোনালদোরই দারুণ এক থ্রু পাসে।
দ্বিতীয়ার্ধে মালাগাকে আবারও দুর্ভাগ্য বঞ্চিত করে একটি গোল থেকে। দুদার দূরপাল্লার ফ্রি-কিক গোলরক্ষক ক্যাসিয়াসকে পরাভূত করলেও তা বারে লেগে প্রতিহত হয়। ওদিকে রোনালদোও মালাগার বক্সে বল​ পেয়ে নষ্ট করেন একটি দারুণ সুযোগের।
ম্যাজের ৮৩ মিনিটের সময় রিয়ালকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন বেল। রোনালদোর​ ফ্লিক থেকে বেল বলটি জালে জড়ান ডান পায়ের শটে। রিয়াল দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ইসকো দদেখেন তাঁর দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটি। এই হলুদ কার্ড দেখার ফ্রি-কিকটি অবশ্য মালাগা ভুলে যেতেই চাইবে বারে লেগে প্রতিহত হওয়ার কারণে। খেলার একেবারে অন্তিম মুহূর্তে আর্থার বোকার ক্রস থেকে দারুণ হেডে ক্যাসিয়াসকে পরাভূত করেন সান্তা ক্রুজ। তবে গোলটি মালাগার আফসোসই কেবল বাড়িয়েছে।

চিরদিন ‘নট আউট’ থাকবেন হিউজ!

চিরদিন ‘নট আউট’ থাকবেন হিউজ!

ফিলিপ হিউজের শেষ ম্যাচের স্কোরকার্ডটি সংশোধন করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। যাতে করে চিরদিন ৬৩ রানে নট আউট থাকতে পারবেন হিউজ। এর আগে বাউন্সারের আঘাতে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর শেফিল্ড শিল্ডের সেই ম্যাচের স্কোরকার্ডে হিউজের নামের পাশে লেখা হয়েছিল ‘রিটায়ার্ড হার্ট’।
‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হলে ব্যাটসম্যানদের নট আউট ধরা হয় না। এতে ব্যাটসম্যানদের গড়েও পরিবর্তন আসে। কিন্তু সেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়, হিউজের পর আর কোনো ব্যাটসম্যান খেলতেও নামেননি। এ কারণে অফিশিয়াল স্কোরকার্ড এর পর সংশোধন করে তাঁকে নট আউট দেখানো হয়। সিএর প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘মনে হতে পারে এটা সামান্য ব্যাপার, কিন্তু আমাদের কাছে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্থক্য। ফিলিপ আজীবন ৬৩-তে নট আউট থাকবে।’
এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবর্তন। হিউজের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসগুলোও নট আউটের। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ২৪৩, ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৩৮, টি-টোয়েন্টিতে (আন্তর্জাতিক নয় এমন ম্যাচে) অপরাজিত ৮৭, লিস ‘এ’ ম্যাচে (আন্তর্জাতিক নয় এমন একদিনের ম্যাচ) অপরাজিত ২০২। এর সঙ্গে যুক্ত হলো জীবনের শেষ ইনিংসে অপরাজিত ৬৩। জীবনের ইনিংসে হয়তো তিনি পরাজিত, কিন্তু ক্রিকেট ইতিহাসের বইয়ে ‘অপরাজিত’ থেকে যাবেন হিউজ।
এদিকে হিউজের আজ জন্মদিন। এই দিনটি উপলক্ষে ভীষণ আবেগঘন একটি কলাম লিখেছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। গত মঙ্গলবারের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকে হিউজকে স্মরণও করা হচ্ছে নানাভাবে। এর মধ্যে আছে এক মিনিটের বদলে ৬৩ সেকেন্ড নীরবতা পালন, ৬৩ ওভারের ম্যাচ খেলা, স্কুল ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা। সবই হিউজের সেই অপরাজিত ৬৩ স্মরণেই।

এবার বলের আঘাতে আম্পায়ারের মৃত্যু

এবার বলের আঘাতে আম্পায়ারের মৃত্যু


ফিলিপ হিউজের শোকে এখনো আচ্ছন্ন পুরো পৃথিবী। এরই মধ্যে ক্রিকেট মাঠে আরেকটি মৃত্যুর খবর এসে আঘাত হানল। বলের আঘাতের শিকার হয়ে এবার মারা গেছেন ইসরায়েল জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিলেল ওয়াসকার। ৫৫ বছর বয়সী ওয়াসকার ইসরায়েলের দক্ষিণ বন্দর নগর আশদদে লিগের একটি ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সে সময় ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে ছুটে এসে সজোরে তাঁর চোয়ালে আঘাত হেনেছিল বলটি।
তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ঠিক সরাসরি বলের আঘাতে মৃত্যু হয়নি ওয়াসকারের। বলটি আঘাত করার পর তিনি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বাঁচাতে পারেননি তাঁকে।
ইসরায়েল ক্রিকেট সংস্থার (আইসিএ) প্রধান নাওর গুডকার জানিয়েছেন, গতকাল ছিল এই মৌসুমের জাতীয় লিগের শেষ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচেই এমন দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হলো ওয়াসকারকে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছে। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা বলেই চিহ্নিত করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে গুডকার বলেছেন, ‘আমরা ভীষণ মর্মাহত। আমরা জেনেছি, একটা বল তাঁর দিকে ছুটে যাচ্ছিল, তিনি সেটা এড়ানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েল ক্রিকেট সংস্থা এবং খেলোয়াড়েরা তাঁর স্মরণে শ্রদ্ধায় মাথা নত করে আছেন। তিনি অসাধারণ একজন মানুষ, ক্রিকেটার আর আম্পায়ার ছিলেন।’

১৯৮২ সাল থেকে পাঁচটি আইসিসি ট্রফিতে দেশের হয়ে খেলেছেন ওয়াসকার। ২০০৬ সালে সর্বশেষ খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। বাঁহাতি স্পিন করতেন, ছিলেন হট অর্ডারের হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানও। আশদদ ‘এ’ দলের হয়ে ২৪৪ রানের অপরাজিত একটা ইনিংস আছে তাঁর। যেটি স্থানীয় লিগের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড। এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে তাঁর পরিবার, দুই কন্যা শোকের সাগরে ভেসে যাচ্ছেন।
গুডকার অবশ্য সান্ত্বনা দিয়ে বলছেন, ‘এটা লাখে একবার ঘটে। কদিন আগে একজন অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় এর শিকার হয়েছেন। জানি না, কীভাবে এটা আমাদের দুয়ারেও এসে আঘাত হানল।

Saturday, November 29, 2014

এবার আদালতে তিন খান

এবার আদালতে তিন খান







অবশেষে একসাথে, একই মঞ্চে দেখা যাবে বলিউডের তিন খান শাহরুখ, আমির ও সালমানকে। ভারতের একটি চ্যাট শর্মার ‘আপ কি আদালত’ এ দেখা যাবে তাদের। জি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
 
তিন খানের ঠোকাঠুকির খবরেই এতদিন সরগরম ছিল বি টাউন। কিন্তু হঠাৎ সালমানের বোন অর্পিতার বিয়ের আগে থেকে উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করল চাকাটা।
 
অর্পিতার বিয়ের অনুষ্ঠানে শাহরুখ-সালমানের পূনর্মিলনের পর নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মেরেছেন রুপোলী পর্দার এই তিন মহারথী। কিন্তু তা সত্ত্বেও এক স্ক্রিনে তিনজনকে এখনও পর্যন্ত কেউই ধরতে পারেননি। সেই অসম্ভব কাজটি সম্ভব করে ফেললেন রজত শর্মা। ছোটপর্দায় তার বিখ্যাত চ্যাট শো-এ একসাথে মুখ দেখাতে এই তিনজনকে রাজি করিয়ে ফেলছেন তিনি।
 
আগামী ২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘আপ কি আদালত’-এর ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক মঞ্চ  ভাগ করে নেবেন তিন খান।
 
একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন রণবীর কাপুর, দীপিকা পড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপরা, সোনাক্ষী সিনহার মত তারকারাও। কিন্তু তিন খান যখন একসাথে এক মঞ্চে, তখন স্পট লাইট যে তাদের উপর পড়বে সে কথা বোধহয় বলাই বাহুল্য।

প্রিয়াঙ্কার ফ্ল‌্যাটে অনৈতিক কাজ

প্রিয়াঙ্কার ফ্ল‌্যাটে অনৈতিক কাজ



 ​
বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ভাড়া দেয়া ফ্ল‌্যাটে অবাধে অনৈতিক কাজ চলছিল। স্পা-পার্লারের আড়ালে চলছিল এসব। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বলিউডে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছেন প্রিয়াঙ্কা। কারণ এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতের একটি নিউজ পোর্টাল এ খবর জানিয়েছে।
 
প্রিয়াঙ্কার দাবি, স্পা-এর ব্যবসার আড়ালে গোটা ঘটনাটি তাকে লুকিয়ে করেছিল পার্লারের মানিক সোনি। বলিউড তারকাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মানিককে বিশ্বাস করেই ফ্ল‌্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় তিন নারীকে।
 
সম্প্রতি ওই ফ্যাটে অভিযান চালিয়ে স্পা-পার্লারের ম্যানেজার দীনেশ চন্দ্রকান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত হদিশ মেলেনি মানিক সোনির। গ্রেফতারি এড়াতে দেশের বাইরেও সে পালাতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
 
কয়েক বছর আগে প্রিয়াঙ্কা মুম্বাইয়ের ভারসোভায় তিন হাজার বর্গফুটের ওই ফ্যাট কিনেছিলেন। ‘বাস্ত্ত প্রিসিণ্ট’ নামে ওই বহুতলে একটি ক্লিনিকও রয়েছে প্রিয়াঙ্কার মা মধুর নামে। মধু নিজেই ওই কিনিকের দেখাশোনা করেন।
 
প্রিয়াঙ্কা নিজে একাধিকবার মানিকের স্পা-পার্লারে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। এমনকী ওই স্পা-এর উদ্বোধনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মধু ও প্রিয়াঙ্কার ভাই সিদ্ধার্থও। ভারসোভার ওই ফ্যাটে অনৈতিক কাজের খবর এসেছিল মুম্বাই পুলিশের কাছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই স্পা

বাপ্পীর পাঁচ নায়িকা

বাপ্পীর পাঁচ নায়িকা


ভিন্ন ছয়টি চলচ্চিত্রে পাঁচ নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের চকোলেট হিরো বাপ্পী চৌধুরী।
 
এর মধ্যে বুধবার বাপ্পী অভিনয় করছেন জাকির হোসেন রাজুর ‘অনেক দামে কেনা’ চলচ্চিত্রে। রাজধানীর বিএফডিসিতে চলচ্চিত্রটির শুটিং চলছে। চলবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এছাড়া অন্য চলচ্চিত্রগুলোর কিছু কিছু শুটিং বাকি আছে। সিডিউল মিলিয়ে সময় নিয়ে বাপ্পী চলচ্চিত্রগুলোর কাজ শেষ করবেন। পাঁচ নায়িকার সাথে জুটিবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে বাপ্পী বলেন, ‘আমার জন্য এটা সৌভাগ্যের বিষয় যে এই সময়ে যারা নায়িকা হিসেবে ভালো অবস্থানে আছেন তাদের প্রত্যেকের সাথেই কাজ করছি। আমার নায়িকা কিংবা আমার সহকর্মী কিংবা আমার প্রতিটি চলচ্চিত্রের প্রযোজক পরিচালকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ । কারণ তাদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই আমি আজকের বাপ্পী চৌধুরী। সেইসাথে আমি আমার ভক্তদের প্রতিও ভীষণ কৃতজ্ঞ।’ বাপ্পী চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র শাহীন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রঙ’। এই চলচ্চিত্রে তার নায়িকা ছিলেন মাহিয়া মাহী। এরপর একে একে তার অভিনীত আরো ১৩টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘জটিল প্রেম’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘কী প্রেম দেখাইলা’, ‘প্রেম প্রেম পাগলামী’, ‘হানিমুন’, ‘কী দারুণ দেখতে’, ‘রোমিও’ ,‘ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম’, ‘আই ডোন্ট কেয়ার’, ‘দবির সাহেবের সংসার’, ‘লাভ স্টেশন’।
 
সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর মুক্তি পায় বাপ্পী চৌধুরী অভিনীত ‘অনেক সাধের ময়না’ চলচ্চিত্রটি। এতে মতি চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

Thursday, November 27, 2014

অ্যাই চা গরম...

অ্যাই চা গরম...

চা নিয়ে দুই লাইনের একটা কৌতুক আছে—
: টি-পট সব সময় ঝামেলায় পড়ে কেন?
: কারণ সে NaughTEA (নটি)।
চা নিয়ে মৌসুমী-ফেরদৌসের কাছে একটা প্রশ্ন ছিল—
: এক কাপ চা বানাতে কত দিন লাগে?
উত্তর যে এক লাইনের সীমানায় বাঁধা যাবে না, সেটা এই অভিনয়শিল্পী জুটি জানতেন। তাই দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসলেন। মৌসুমী বললেন, ‘ফেরদৌস, ব্যাখাটা তুমি-ই দাও!’
তরুণ কলেজশিক্ষকের মতো গলা খাঁকারি দিয়ে ব্যাখা দিতে শুরু করলেন ফেরদৌস, ‘এক কাপ চা ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল অনেক আগে। শেষ হতে এত সময় নেওয়ার পেছনে বড় কারণ শুটিং-জটিলতা। মাঝে এই ছবির আরেক অভিনয়শিল্পী ঋতুপর্ণা মা হলেন। ফলে তাঁর জন্য বেশ খানিকটা সময় বিরতিতে যেতে হয়েছিল। তবে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে পোস্ট প্রোডাকশনের জন্য। ছবিটিতে আমি কেবল অভিনয়ই করছি না, প্রযোজনাও করেছি। তা-ও আবার প্রথমবারের মতো, ফলে সবকিছু নিয়েই খুব পরিশ্রম করেছি, সময় দিয়েছি।’
ফেরদৌসের ব্যাখ্যায় যোগ করলেন মৌসুমী, ‘নবীন পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত এই ছবিটি নিয়ে আমরা এখন বেশ রোমাঞ্চিত। শেষ পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় “শেষ” হলো।’ কথাটিতে পুরোপুরি একমত ফেরদৌসও, ‘সেটাই, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। শুক্রবার দেশের প্রায় অর্ধশত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে এক কাপ চা। আশা করি, দর্শক এতে মৌসুমী-ফেরদৌস জুটিকে নতুন চেহারায় দেখবেন।’
অথচ ১৪ বছর আগের কোনো এক শীতের বিকেলে এফডিসির শুটিং স্পটে বসে ফেরদৌস কি এমনটা ভাবতে পেরেছিলেন? কিংবা মৌসুমী নিজে? ফেরদৌসের ভাষায়, ‘চলচ্চিত্রে মৌসুমী তখন মধ্যগগনে নয়, পুরোপুরি ঊর্ধ্বগগনে অবস্থান করছেন। অভিনয় করছে বড় বড় তারকা অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে। ঠিক সে সময় পরিচালক বাদল খন্দকার একদিন বললেন, “মৌসুমীর সঙ্গে অভিনয় করবে?” মনে আছে, মিস ডায়না ছবিতে একটি অতিথি চরিত্রে মৌসুমীর সঙ্গে অভিনয় করলাম। নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুল শুটিং শেষে বললেন, “মনে রেখো, বাংলা চলচ্চিত্রে আরেকটা জুটি দাঁড়িয়ে গেল।”’
১৪ বছর পর মাসুম বাবুলের কথাটা সত্যি করেছে এই জুটি। বিশেষ করে ‘জুটি’ হিসেবে মৌসুমী-ফেরদৌস নজর কেড়েছেন খায়রুন সুন্দরী ছবিটির পর। দুজনে মিলে ‘এক কাপ চা’ হয়ে ওঠার রেসিপি কী? দুজনের একই উত্তর, ‘বন্ধুতা!’
আড্ডায় ছিলেন না দুজনের আরেক কাছের বন্ধু ঋতুপর্ণা। তাঁর প্রসঙ্গও উঠে এল কথায় কথায়। বাসু চ্যাটার্জির এক কাপ চায়ের চিত্রনাট্যে ঋতুপর্ণা যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সেটাতে নাকি কেবল তাঁকেই মানাত। আর প্রযোজক হিসেবে নিজেকে কীভাবে মানিয়ে নিলেন ফেরদৌস? মৌসুমীর চোখে, ‘খুবই ধৈর্যশীল, বিনয়ী, রুচিশীল ও পরিশ্রমী প্রযোজক সে। ও আমার কাজের বেলায় নিজেকে উজাড় করে দেয়। আমিও চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চটুকু দিতে।’
নতুন এই অভিজ্ঞতা নাকি বেশ উপভোগ করেছেন ফেরদৌস, ‘প্রযোজনা শুরু করেছিলাম নানা আশঙ্কা নিয়ে। কিন্তু চলচ্চিত্র অঙ্গনের, বিশেষ করে চলচ্চিত্র পরিবেশক থেকে শুরু করে প্রচারণার কাজে যাঁরা যুক্ত, তাঁরাও দারুণ সহযোগিতা করেছেন। ফলে নতুন ছবি প্রযোজনার সাহস ও উৎসাহ পাচ্ছি। আর মৌসুমীর মতো বন্ধু পেলে তো কথাই নেই। ও যে সহযোগিতা আমাকে করেছে, সেটা অনেক পুরস্কারের চেয়েও দামি!’
চায়ে চুমুক দিচ্ছিলেন মৌসুমী, ফেরদৌসের প্রশংসায় পুরো চুমুক দিতে পারলেন না, চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘আমার জীবনের অন্যতম কমপ্লিমেন্ট এটা! নাও, এক কাপ চা খাও!

রাউলকে পেরিয়ে মেসি

রাউলকে পেরিয়ে মেসি

ব্যালন ডি’অরের চূড়ান্ত মনোনয়নের সময়টা ঘনিয়ে আসছে। সম্ভাব্য জয়ী হিসেবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম শোনা যাচ্ছে খুব জোরেশোরে।
এমন সময় কি আর মেসি চুপচাপ বসে থাকতে পারেন? হঠাৎ যেন তাঁকেও গোলের নেশায় পেয়েছে। তিন দিন আগে তেলমো জারাকে পেরিয়ে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। এবার ইতিহাস গড়লেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েও। অ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার বিপক্ষে পরশু রাতে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে মেসি পেরিয়ে গেছেন সাবেক স্প্যানিশ স্ট্রাইকার রাউল গঞ্জালেসকে। ইউরোপীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় ৯১ ম্যাচে মেসির গোল এখন ৭৪টি, ১৪২ ম্যাচে রাউলের গোল ৭১। এই দুজনের খুব কাছাকাছি আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত রাতে বাসেলের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত রোনালদোর গোল ছিল ৭০। সেখান থেকে রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার কত দূর এগোলেন, সেটা অবশ্য এতক্ষণে জানা হয়ে গেছে পাঠকের।
বার্সেলোনার নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এ ম্যাচের বড় আকর্ষণই ছিল তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটিকে ঘিরে। সমর্থকদের নিরাশ করেননি মেসিও। রাউলকে পেরিয়ে যান ৩৮ মিনিটে গোল করেই। কিন্তু গোলের নেশায় পেয়ে বসলে আর্জেন্টাইন জাদুকর তো এত সহজে থামবার পাত্র নন। ৫৮ মিনিটে দানি আলভেজের পাস থেকে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, হ্যাটট্রিক হয় ৮৭ মিনিটে পেদ্রোর পাস থেকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বাঁ পায়ের খেলোয়াড় হলেও পরশু তাঁর তিনটি গোলই এসেছে ডান পা থেকে!
আরও একটা অর্জনের পর মেসি যথারীতি বিনয়ী। ম্যাচ শেষে শুধু বলেছেন, ‘এমন একটা টুর্নামেন্টে এ রকম একটা রেকর্ড গড়তে পেরে আনন্দিত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তিন পয়েন্ট, যেটি আমরা এই ম্যাচ জিতে পেয়েছি।’ মেসির কোচ লুইস এনরিকে অবশ্য উচ্ছ্বাস প্রকাশে এতটা সংযত থাকেননি, ‘সে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। ফুটবল খেলার রাজা এবং সে লম্বা সময় ধরে সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে যাবে।’ অসাধারণ কীর্তি গড়া মেসির বিশেষণ দিতে গিয়ে শব্দই যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না সতীর্থ পেদ্রো রদ্রিগেজ, ‘ওকে নিয়ে কী বলতে হবে আমি তা জানি না। সে-ই বিশ্বের সেরা।’
মেসির এমন কীর্তি ছাড়াও এ ম্যাচ থেকে আরও একটা প্রাপ্তি আছে বার্সেলোনার। অবশেষে বার্সার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। অ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার সঙ্গে ৪-০ গোলের জয়ে বার্সেলোনার প্রথম গোলটাই ছিল উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের। 
চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন
৫৯ গোল বাঁ পায়ে
১১ গোল ডান পায়ে
৪ গোল হেডে
৭৪ গোল
ম্যাচপ্রতি গোল ০.৮১

বেশি গোলের প্রতিপক্ষ
৮ এসি মিলান
৬ আয়াক্স
৬ আর্সেনাল
৬ লেভারকুসেন
৪ প্যানাথিনাইকস
৪ স্পার্তাক মস্কো
৩ সেল্টিক
৩ এফসি কোপেনহেগেন
৩ অলিম্পিক লিঁও
৩ অ্যাপোয়েল

কোথায় কত গোল
৩৮ গোল ন্যু কাম্পে
৩৪ প্রতিপক্ষের মাঠে
২ ফাইনালে

বেশি সহায়তা
৯ ইনিয়েস্তা
৮ আলভেজ
৬ জাভি
৫ পেদ্রো
৩ অঁরি

মেসির পরেই রোনালদো

মেসির পরেই রোনালদো


মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন লিওনেল মেসি। কাল মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযাত্রায় আরও একধাপ এগোলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সুইস ক্লাব বাসেলের বিপক্ষে গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৭১তম গোলটি পেয়েছেন এই পর্তুগিজ। গোলটি তাঁকে নিয়ে গেছে রাউল গঞ্জালেসের সঙ্গে যৌথভাবে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর গোলেই বাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থানটি নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
বাসেলের বিপক্ষে জয়টি ছিল রিয়ালের টানা পঞ্চদশ জয়। আগের ১৪ ম্যাচে ৫৬ গোলের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমে বাসেলের বিপক্ষে অবশ্য তেমন ‘খুনে’ চেহারায় দেখা যায়নি। তবে রোনালদোর কল্যাণে পূর্ণ পয়েন্টটা ঠিকই আদায় করে নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির বাহিনী।
খেলার ৩৫ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই গোলে রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাকে বড়সড় একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন রোনালদো। বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে বল নিয়ে ঢুকে প্রায় গোললাইনের কাছ থেকে বাড়ানো তাঁর পাসটিই গোলে পরিণত করেন রোনালদো। খেলার একেবারে শুরুতেই অবশ্য গোল পেয়ে যেতে পারতেন রোনালদো। তাঁর বাঁ পায়ের শট দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন বাসেলের গোলরক্ষক। ৭৭ মিনিটে তাঁর শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এই অর্ধে বাসেলের দুটি প্রচেষ্টাও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

মেসি রোনালদোর অর্ধেকও ভালো নন!

মেসি রোনালদোর অর্ধেকও ভালো নন!


লিওনেল মেসি, নাকি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? সেরা কে, বেছে নিতে গলদঘর্ম হতেই হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে এই কথাটি হয়তো সত্যি নয়। কার্লোস ভারেলা যেমন। এফসি বাসেলের এই সাবেক মিডফিল্ডার বলছেন, দুজনের তুলনাটা একেবারেই অসম্ভব। কারণ তুলনা হবে কী করে, মেসি যে রোনালদোর অর্ধেকও ভালো নন! শুধু তা-ই নয়, ভারেলা আরও দাবি করেছেন, রোনালদো দেখতে ‘কুৎসিত’ হলে আরও বেশি ব্যালন ডি’অর জিততেন!
ব্যালন ডি’অর ঘোষণার সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন চাপান-উতোর বাড়ছে। রোনালদো রাজনীতি করে ব্যালন ডি’অর জিতছেন—ফ্রাঙ্ক রিবেরি এমন দাবি করার পর এবার রোনালদোর পক্ষ থেকে কেউ তোপ দাগলেন। রিয়াল মাদ্রিদ বাসেলের মুখোমুখি হওয়ার আগে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএসকে ভারেলা বলেছেন, ‘রোনালদোর সমালোচনা লোকে কীভাবে করে, সেটা আমার মাথাতেই ঢোকে না। আসলে ওর ভাবমূর্তি একটা (নেতিবাচক‍) প্রভাব তৈরি করে। লোকে ওকে নিয়ে হিংসা আর ঈর্ষা করে। দেখতে কুৎসিত হলে আরও ভালোভাবে ওকে সবাই গ্রহণ করত।’
এরপরই মেসির সঙ্গে রোনালদোর তুলনা টানতে গিয়ে দুজনের ব্যালন ডি’অর সংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করেছেন ভারেলা। মেসি চারটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন, রোনালদো দুটি। ভারেলা মনে করেন, সংখ্যা উল্টো হওয়া উচিত ছিল, ‘রোনালদোর দুটোর বেশি ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত ছিল। মেসি তো রোনালদোর অর্ধেকও ভালো নয়। অন্য ক্লাবের হয়ে কী করতে পারে, সেটা মেসি এখনো প্রমাণ করেনি। কিন্তু রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজেকে প্রমাণ করে আবার রিয়ালের হয়েও সাফল্য পেয়েছেন।’

আমি কোনো ভুল করিনি: বিনা মালিক

আমি কোনো ভুল করিনি: বিনা মালিক


গত মে মাসে পাকিস্তানের জিয়ো টিভির একটি অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করায় সম্প্রতি পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী বিনা মালিককে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কোনো ভুল করেননি বলেই দাবি করেছেন ৩০ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেত্রী। 
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিনা মালিক বলেন, ‘২৬ বছর! ২৬ বছর তো যাবজ্জীবন...কিন্তু পাকিস্তানের উচ্চ আদালতের প্রতি আমার আস্থা আছে। চূড়ান্ত রায়ে আমি অবশ্যই সুবিচার পাব। খারাপ কিছুই ঘটতে যাচ্ছে না। জীবনে অনেক উত্থান-পতনের মুখোমুখি হয়েছি। নিশ্চিত করেই বলতে পারি, আমি কোনো ভুল করিনি।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে গালফ নিউজ। 
গত বছর দুবাইয়ে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবসায়ী আসাদ বশীর খানকে বিয়ে করেন বিনা। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম সন্তানের মা হন তিনি। ছেলের নাম তিনি রেখেছেন আবরাম খান। ২৬ বছর কারাদণ্ড পাওয়ার কথা জানার পর এক টুইটার বার্তায় বিনা লিখেছেন, ‘কখনো কখনো মাতৃত্বের শক্তি আইনের চেয়েও অনেক বেশি।’ 
আরও পড়ুন
বিনা মালিকের ২৬ বছরের কারাদণ্ড

পারিশ্রমিকের টাকায় প্রযোজক!

পারিশ্রমিকের টাকায় প্রযোজক!


ঢাকাই ছবির এ সময়ের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি প্রযোজক হয়েছেন খবরটা পুরোনো। নতুন খবর হলো—এখন পর্যন্ত ছবিতে অভিনয় করে যে পারিশ্রমিক পেয়েছেন, তা দিয়েই ‘নিয়তি’ নামে একটি ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। আগামী বছরের এপ্রিলে ‘নিয়তি’র কাজ শুরু হবে বলেই জানিয়েছেন মাহি।
এ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘বলিউড-হলিউডের পাশাপাশি ঢালিউডের অনেক অভিনয়শিল্পীই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাই আমিও স্করপিয়ন নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা চালু করেছি। “নিয়তি” ছবি দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করছি আগামী বছরের এপ্রিলে। আমি এখন পর্যন্ত যে কয়টি ছবিতে অভিনয় করে যে পরিমাণ পারিশ্রমিক পেয়েছি, তা দিয়ে ছবি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মাহি এ-ও বলেন, ‘ছবিটি দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হতে পারে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি নিজেই অভিনয় করব। তবে আমার বিপরীতে কে থাকবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হলে কলকাতার একজন নায়ক নেওয়া হবে। আর তা না হলে বাংলাদেশের কোনো অভিনেতাকেই আমার বিপরীতে দেখা যাবে।’
ছবি প্রযোজনায় এসে মজা লাগার পাশাপাশি কিছুটা চাপও অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন মাহি। ‘নিয়তি’ ছবির প্রতি তাঁর ভালো লাগার ব্যাপারটি অনেক বেশি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মাহির স্করপিয়ন

মাহি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন দুই বছর হলো। এরই মধ্যে তাঁর অভিনীত মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো মধ্যে রয়েছে ‘ভালোবাসার রং’, ‘অন্য রকম ভালোবাসা’, ‘পোড়ামন’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘তবুও ভালোবাসা’, ‘অগ্নি’, ‘কী দারুণ দেখতে’, ‘দবির সাহেবের সংসার’ ও ‘অনেক সাধের ময়না’।

 মাহি অভিনীত জাকির হোসেন রাজুর ‘অনেক সাধের ময়না’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ৭ নভেম্বর। এতে ময়না চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহি। তাঁর অভিনয় বিভিন্ন মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১২ ডিসেম্বর মাহি অভিনীত সৈকত নাসিরের ‘দেশা: দ্য লিডার’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত চিত্রনায়ক শিপন।

অশোক পতি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট’-এরও কাজ শেষ করেছেন মাহি। এতে তিনি জুলিয়েট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাবে।

স্বামীকে চমকে দিলেন পূর্ণিমা

স্বামীকে চমকে দিলেন পূর্ণিমা


ছবিতে নায়িকাদের অনেক কিছুই করতে দেখা যায়। কখনো তাঁরা মজার রান্না দিয়ে সবাইকে চমকে দেন। আবার কখনো ঘর-সংসার সামলাতে ব্যস্ত থাকেন। বাস্তবের পূর্ণিমা যেন তার ব্যতিক্রম নন। নিজের হাতে প্রথমবারের মতো পিৎজা বানালেন তিনি। প্রথম পিৎজা দিয়ে স্বামী ফাহাদকে চমকে দিলেন পূর্ণিমা। আর স্ত্রী পূর্ণিমার হাতের প্রথম পিৎজা খেয়ে অভিভূত ফাহাদ।
ফাহাদের ভাষ্যমতে, অপূর্ব সেই স্বাদ। পূর্ণিমার হাতে বানানো পিৎজা এককথায় অসাধারণ।স্বামীর জন্য পূর্ণিমার বানানো পিৎজা
ফেসবুক পেজে পূর্ণিমার প্রশংসা করে ফাহাদ লেখেন, খুব মজাদার একটি পিৎজা বানিয়েছে পূর্ণিমা। আমিও তা বেশ মজা করে খেয়েছি। আমার খুব ভালো লেগেছে।
কয়েক মাস ধরে স্বামী, সন্তান আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত পূর্ণিমা। সময় পেলে তাই মাঝেমধ্যে নিজের পছন্দসই খাবার তৈরি করেন। আর পছন্দের খাবারটি স্বামীকে খাইয়েও অন্য রকম আনন্দিত হন পূর্ণিমা।
প্রথমবার পিৎজা তৈরি প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, ‘সময় পেলেই নানা পদের রান্না করার চেষ্টা করি। রান্না করতে কিন্তু ভালোই লাগে। তবে সব সময় না, হা হা হা। ইন্টারনেট ঘেঁটে রেসিপিগুলো আয়ত্ত করে নিই। আর তা থেকে নিত্যনতুন রান্না বানানোর চেষ্টা করি। যখনই কোনো কিছু রান্না করি, ফাহাদ (পূর্ণিমার স্বামী) খেয়ে খুব প্রশংসা করে। আজ পর্যন্ত কোনো দিনই সে আমার রান্না খারাপ বলেনি। ফাহাদ আমার সব ধরনের রান্নার ভক্ত। এবারই প্রথম পিৎজা বানালাম। তা-ও স্বামীর জন্য। আর আমার পিৎজা খেয়ে ফাহাদ বলেছে, এটাই বাড়িতে তৈরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পিৎজা।’

Wednesday, November 26, 2014

দুই খানের চুমুর ছবিতে অনলাইন সরগরম

দুই খানের চুমুর ছবিতে অনলাইন সরগরম


অর্পিতা খানের বিয়ের ‘সংগীত’ অনুষ্ঠানে শাহরুখ ও সালমান খান অর্পিতাকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খাওয়ার সময় তাঁদের তিনজনকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়। ছবিটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন অর্পিতা। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হইচই ফেলে দেয়। পরে কম্পিউটারের কারসাজিতে ছবিটি থেকে অর্পিতাকে কেটে বাদ দিয়ে দুই খানকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে, একে অন্যের ঠোঁটে চুমু দিচ্ছেন শাহরুখ ও সালমান। অনলাইনে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো তোলপাড় চলছে। বিষয়টি নিয়ে আরও অনেকের মতো ব্যাপক মজা পেয়েছেন শাহরুখ ও সালমানও। তাঁরা ছবিটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মজাও করেছেন।
ছবিটি নিয়ে শাহরুখ ও সালমান একে অন্যের সঙ্গে মজা করার সময় প্রথমে সালমান বলেন, ‘কম্পিউটারের কারসাজিতে বানানো আমাদের চুমুর ছবিটি কি তুমি দেখেছ? আমি অনেককেই বলেছি, আমাদের দুজনের সত্যিকারের চুমুর ছবি আছে।’ জবাবে শাহরুখ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি দেখেছি।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া। 
শাহরুখকে উদ্দেশ করে সালমান আরও বলেন, ‘ছবিতে তোমার অভিব্যক্তি খুবই খারাপ ছিল। দেখে মনে হয়েছে, তুমি উপভোগ করছিলে।’ জবাবে শাহরুখ বলেন, ‘তোমার অভিব্যক্তি আমার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ ছিল।

আরও পড়ুন
কাঁদলেন শাহরুখ-সালমান
অর্পিতার বিয়েতে নাচলেন শাহরুখ
অর্পিতার বিয়ের যত চমক

স্বামী হিসেবে সালমানকে চান সানিয়া মির্জা!

স্বামী হিসেবে সালমানকে চান সানিয়া মির্জা!

আর মাত্র দুই বছর পর পঞ্চাশে পা রাখবেন বলিউডের প্রভাবশালী তারকা অভিনেতা সালমান খান। এই বয়সেও বলিউডের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলর তকমা ধরে রেখেছেন খান সাহেব। বাস্তব জীবনে বিয়ে নিয়ে গড়িমসি থাকলেও রুপালি পর্দায় স্বামী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার জীবনী অবলম্বনে ছবি তৈরির কথা চলছে। সানিয়া চান, তাঁর স্বামী পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড় শোয়েব মালিকের চরিত্রে অভিনয় করুক সালমান। আর নিজের চরিত্রে সানিয়ার প্রথম পছন্দ দীপিকা পাড়ুকোন। 
সম্প্রতি এক খবরে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সানিয়ার বায়োপিক তৈরি হবে বলে খবর ভাসছে। শুরুর দিকে নিজের জীবনী অবলম্বনে ছবি তৈরির পক্ষপাতী ছিলেন না ২৮ বছর বয়সী এ তারকা খেলোয়াড়। এর পেছনের কারণ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হইচই হোক তা তিনি চান না। তবে সম্প্রতি মত পাল্টেছেন সানিয়া। বায়োপিক তৈরি হলে তাঁর কোনো আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।

সালমানকে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। এ ছাড়া বায়োপিকে সানিয়ার পছন্দ অনুযায়ী সালমানের বিপরীতে দীপিকা অভিনয় করলে সালমান-দীপিকা জুটিকে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকেরা। সালমানের সমসাময়িক তারকা শাহরুখ খানের জুটি হলেও এখন পর্যন্ত সালমানের সঙ্গে অভিনয় করা হয়নি দীপিকার। সানিয়ার চাওয়া পূরণ করতে নির্মাতারা সত্যি সত্যিই সালমান-দীপিকা জুটিকে নিয়ে বায়োপিক তৈরি করলে মন্দ হয় না। এতে করে সালমানকে ক্রিকেটার চরিত্রে দেখার পাশাপাশি সালমান-দীপিকা জুটির রসায়নও উপভোগের সুযোগ পাবেন দর্শকেরা।

আরও পড়ুন
কেঁদেই দিলেন সানিয়া মির্জা
শোয়েবের জন্য ‘যুদ্ধংদেহী’ সানিয়া

সানিয়া ও শোয়েবের বিয়ে সম্পন্ন

ক্যাটরিনার টিফিনবাটি

ক্যাটরিনার টিফিনবাটি

মুটিয়ে গেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। কাঁধের আঘাতের কারণে কয়েক দিন জিম থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। একপর্যায়ে ওজন নাকি হয়ে গিয়েছিল ৬৮ কেজি! তবে এ অবস্থা তো বেশি দিন চলতে পারে না। নতুন ডায়েট মেনে চলছেন আর ফলও পেয়েছেন। সালমান খানের বোন অর্পিতা খানের বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি নজর কেড়েছেন সবার। দুই ঘণ্টা পর পর তাঁর কাছে পৌঁছে গেছে টিফিনবাটি ভরা খাবার। প্রায় পুরোটাই নানা রকম শস্যজাতীয় খাবার আর সবজি। ম্যাক্রোবায়োটিক ডায়েট নামে পরিচিত এটি।

সিরিজ জয়ের ম্যাচ?

সিরিজ জয়ের ম্যাচ?

চট্টগ্রামবাসী নিশ্চয়ই আফসোস করছে। টেস্ট, ওয়ানডে মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের তিনটি জয়ের সাক্ষী তারা, অথচ সিরিজ জয়ের ম্যাচটাই কিনা দেখতে পারছে না!
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আজ। ২-০ তে এগিয়ে থাকায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এ ম্যাচটি জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তাই আগেভাগে বলে দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে যে, এটিই সিরিজ জয়ের ম্যাচ? ঢাকায় এসে তো আজ ঘুরেও দাঁড়াতে পারে এল্টন চিগুম্বুরার জিম্বাবুয়ে!
খুবই পারে। কিন্তু দলটির শরীরী ভাষা দেখে কে বলবে, তারা বাংলাদেশে জিততেও এসেছে! তিন টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর এক দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও হার আত্মবিশ্বাসের শিরদাঁড়াটাই যেন ভেঙে দিয়েছে জিম্বাবুয়ের। ও হ্যাঁ, তৃতীয় ওয়ানডের আগের সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা ভুসিমুজি সিবান্দা অবশ্য শুনিয়ে গেলেন জয়ের আশাই। ম্যাচটাকে জীবন-মরণ লড়াই ধরে নিয়ে তাঁর কথা, ‘আমরা যে করেই হোক, ম্যাচটা জিততে চাই। আমাদের জন্য এখন সিরিজটা এই এক ম্যাচেরই, যেখানে আমাদের সবটুকু ঢেলে দিতে হবে। দলের সবাই জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে।’
এই ক্ষুধা মিরপুরে আজ বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাকে গিলে খেতে পারে কি না, সেটাই দেখার। তবে সিবান্দাও নিশ্চয়ই জানেন, টেস্ট সিরিজের পর জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডেতেও ধবলধোলাই করতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যপূরণে শুধু আজকের ম্যাচ কেন, বাংলাদেশ জেতার আশা করছে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচও।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য শুরু থেকেই বলে আসছেন, ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান। প্রথম দুই ম্যাচে সেভাবেই এগিয়ে দলটা এখন সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে। তৃতীয় ওয়ানডের আগে তাই ৫-০-এর কথা বললেন না মাশরাফি, ‘আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচই জিততে চাই। তবে আপাতত কালকের (আজ) ম্যাচ জিততে হবে। বাকি কাজটা তাহলে খুব সহজ হয়ে যাবে।’
জয়ের ধারার মধ্যে থাকা মাশরাফি-সাকিবদের জন্য কাজটা এমনিতেও খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। তবে তৃতীয় ওয়ানডে হচ্ছে ভিন্ন ভেন্যুতে। মাঝে গেল দুই দিনের বিরতি। আগের দুই ম্যাচের কথা ভুলে তাই মাশরাফি চাইছেন নতুন শুরু, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচই নতুন। সবকিছুই তাই নতুন করে শুরু করতে হবে। দুই দিনের একটা বিরতির পর আবার নতুন একটা ম্যাচ এসেছে। এটিকে সিরিয়াসলি নিয়ে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।’
‘নতুন’ ম্যাচে বাংলাদেশ দলও আজ নেবে নতুন চেহারা। আগের দুই ম্যাচে খেলা পেসার আল আমিন নেই তৃতীয় ওয়ানডের ১৪ জনের দলে। তাঁর জায়গায় নিশ্চিতভাবেই একাদশে ঢুকবেন আরেক পেসার শফিউল ইসলাম। তবে আজ ম্যাচের আগে উইকেটের চেহারা কেমন দেখায়, সেটির ওপরই নির্ভর করছে আরও একটি পরিবর্তন। তিন পেসারের জায়গায় দুই পেসার খেলানো হলে রুবেল হোসেনের পরিবর্তে ওয়ানডে অভিষেক হয়ে যেতে পারে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনেরও।
চট্টগ্রামে শিশির শেষ পর্যন্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বাংলাদেশ দলের সামনে। দুটি ম্যাচেই পরে বোলিং করেও জিতেছে বাংলাদেশ। তবে আবহাওয়ার ওপর যেহেতু কারও হাত নেই, ঢাকার ম্যাচে শিশির কোনো সমস্যা হবে কি না, তা ম্যাচের আগে বলা কঠিনই। মিরপুরে আগে ব্যাট করলে ঠিক কত রান নিরাপদ, মাশরাফিও তা ছেড়ে দিয়েছেন কন্ডিশনের হাতে, ‘শিশির কী পরিমাণ পড়ে, সেটা আগে দেখতে হবে। চট্টগ্রামের আর এখানকার ঘাস এক নয়। চট্টগ্রামের শেষ ম্যাচে যেমন প্রথম ম্যাচের তুলনায় একটু বেশি শিশির ছিল। কন্ডিশন বুঝেই তাই বলতে হবে কী হতে পারে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগ পর্যন্ত বছরটা বেশ খারাপই যাচ্ছিল বাংলাদেশ দলের। তবে এই খারাপের মধ্যেই বছরের সেরা দুটি আবিষ্কার বলতে পারেন তাইজুল ইসলাম আর জুবায়ের হোসেনকে। টেস্টের পরীক্ষায় দুজনই উত্তীর্ণ। এ ছাড়া ওয়ানডে অভিষেকে সাব্বির রহমানও অনেকটা প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাইজুল টেস্ট দলে নেই। তবে আজ দলে থাকলে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবেন জুবায়েরও। 
মাশরাফি অবশ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাপ্তির খাতায় আরও কিছু দেখতে চান। তার মধ্যে অন্যতম, আজই ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা। এই জয় বাংলাদেশ দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাখ্যা করেছেন সেটিও, ‘সিরিজ জয় আমাদের জন্য খুবই দরকার। বিশেষ করে এই বছরের প্রেক্ষাপটে সিরিজটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এখনো আছে। বিশ্বকাপের আগে আমরা ভালোভাবে জিততে চাই সিরিজটা। বিশ্বকাপে তাহলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব।’
সন্দেহ নেই ৫-০ তে সিরিজ জিততে পারাই সর্বোচ্চ সঞ্জীবনী সুধা ঢালবে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসে। তার আগে আজই নিশ্চিত করে ফেলা চাই সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

কারাগারে ২৬ নম্বর সেলে একা লতিফ সিদ্দিকী

কারাগারে ২৬ নম্বর সেলে একা লতিফ সিদ্দিকী

আত্মসমর্পণের পর সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি জামিন চাননি। কারাগারে ডিভিশন (বিশেষ মর্যাদা) পাওয়া বন্দীদের জন্য নির্ধারিত ২৬ নম্বর সেলে তাঁকে একা রাখা হয়েছে। 
লতিফ সিদ্দিকী গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। রোববার রাতে তিনি ভারত থেকে ঢাকায় ফেরেন এবং অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা হয়। অন্তত সাতটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের চারটি পরোয়ানা রয়েছে। 
গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। বিদেশে থাকা অবস্থায়ই মন্ত্রিসভা ও দল থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে আচমকা তাঁর কক্ষে ঢুকে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘ওসি সাহেব, চলে এলাম আপনার কাছে।’ সাবেক মন্ত্রীকে দেখে কিছুটা চমকে গেলেও সামলে নিয়ে ওসি বলেন, ‘ভালোই হয়েছে স্যার, পুলিশ তো আপনাকে খুঁজছে।’ লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশ আমাকে খুঁজবে কেন, আমি নিজেই চলে এসেছি।’ এরপর ওসি তাঁকে চা পান করতে বলেন। লতিফ সিদ্দিকী তাতে রাজি হননি। বললেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া কী আছে, কী করতে হবে তা করেন।’ 
ওসি আবু বকর প্রথম আলোকে বলেন, এরপর তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নির্দেশনা পেয়ে নিজের গাড়িতে করেই লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে পুরান ঢাকায় আদালতের দিকে রওনা দেন। সব মিলিয়ে থানায় তিন থেকে চার মিনিট ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী।
ধানমন্ডি থানার সেন্ট্রি ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে একাই থানায় আসেন লতিফ সিদ্দিকী। তাঁর পরনে ছিল কালো প্যান্ট আর সাদা চেক শার্ট, শার্টের পকেটে একটি কলম গোঁজা। থানায় ঢুকেই তিনি সরাসরি ওসির কক্ষে চলে যান।
আদালতে নেওয়ার সময় লতিফ সিদ্দিকীকে বহনকারী গাড়ির সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের আরও দুটি গাড়ি সামনে-পেছনে যায়। বেলা দুইটার দিকে লতিফ সিদ্দিকী আদালতে পৌঁছান। এর মধ্যেই গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। সাংবাদিকেরা আদালতের দিকে ছুটে যান। এর মধ্যেই আদালত এলাকার নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে বহন করা গাড়িটি ঘিরে ধরে তাঁকে নামিয়ে আনেন এবং মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের পাশে হাজতখানায় নিয়ে যান। সোয়া দুইটার দিকে তাঁকে দোতলায় আদালতকক্ষে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় নিরাপত্তার জন্য লতিফ সিদ্দিকীকে হেলমেট পরাতে চায় পুলিশ। তিনি হেলমেট পরতে রাজি হননি। 
জনাকীর্ণ আদালতে প্রায় ১৫ মিনিটের শুনানির পুরো সময় লতিফ সিদ্দিকী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। মহানগর হাকিম আতিকুর রহমান এজলাসে ওঠার পরে মামলার বাদী আইনজীবী এ কে এম আবেদ রাজা আদালতকে বলেন, ২০০ কোটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এই মামলাটি করা হয়েছে। আসামি লতিফ সিদ্দিকী নিজে এবং তাঁর বাবাও একজন আইনজীবী ছিলেন। এই মামলায় যা কিছু আইনগত সুযোগ-সুবিধা আসামি পাবেন, তাতে বাদীর কোনো আপত্তি নেই।
এরপর হাকিম লতিফ সিদ্দিকীর কাছে জানতে চান, তিনি জামিনের আবেদন করবেন কি না। জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জামিনের আবেদন করব না।’ হাকিম বলেন, ‘যেহেতু আসামি জামিনের আবেদন করেননি, তাই আসামি পরোয়ানামূলে জেলহাজতে যাবেন।’
আদেশের পরপর আদালতকক্ষেই চিৎকার করে উল্লাস করা শুরু করেন আইনজীবীরা। উল্লাস করতে করতে তাঁরা নিচে নেমে মিছিল শুরু করেন। এ সময় অনেক আইনজীবীকে হাতে জুতা তুলে নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়। 
বেলা পৌনে তিনটার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে লতিফ সিদ্দিকীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় কিছু আইনজীবী প্রিজন ভ্যানে জুতা ছুড়ে মারেন।
কারা ফটকে ১৭ মিনিট: বেলা সাড়ে তিনটার দিকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান বকশীবাজারে কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে পৌঁছায়। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে কারাগারে ঢোকার জন্য কয়েক পা এগিয়েই ফটকের সামনে থেমে যান তিনি। বলেন, পকেট (ছোট) গেট দিয়ে মাথা নিচু করে ঢুকবেন না। পুলিশ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীরা তাঁকে অনুরোধ করেন, চাপাচাপিও করেন। তখন তিনি বলেন, ‘আমি এখনো এমপি। আমি গত ৩০ বছর ছোট গেট দিয়ে চলাচল করিনি।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকটি সাধারণত গাড়ি ও মালামাল আনা-নেওয়ার সময় খোলা হয়। আর আসামিদের ছোট ফটক দিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়।
এই অচলাবস্থার সময় গণমাধ্যমের কর্মীরা লতিফ সিদ্দিকীর ছবি তুলছিলেন। অনেকে দূর থেকে উচ্চস্বরে তাঁর উদ্দেশে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছিলেন। তবে কারোর প্রশ্নেরই জবাব দেননি লতিফ সিদ্দিকী। শুধু দুই দিকে মাথা ঝাঁকিয়েছেন। দুই হাত এক করে মুখ বরাবর তুলে এনে কথা বলবেন না বলে ইশারা করেন সবার উদ্দেশে।
শেষ পর্যন্ত বিকেল পৌনে চারটার দিকে কারাগারের প্রধান ফটকটি খুলে দেওয়া হয়। জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী ফটকের বাইরে আসেন এবং লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে হেঁটে কারাগারে ঢোকেন।
জানতে চাইলে ফরমান আলী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে ঢোকানোর ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
কারা সূত্র জানায়, সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী হিসেবে লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের জন্য নির্ধারিত ২৬ নম্বর সেলে নিয়ে রাখা হয়। তিনি যে শার্ট-প্যান্ট পরে এসেছিলেন, সেগুলো পরেই সেলে গেছেন। পরে তাঁর আত্মীয় পরিচয়ে একজন গিয়ে শীতের কিছু কাপড় দিয়ে আসেন। ওই সেলে গত রাতে তিনি একাই ছিলেন বলে কারাসূত্র জানায়। ওই সেলে তাঁর সঙ্গে অন্য কাকে রাখা যায়, সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেবে কারা কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আজ থেকে তাঁর সেবার জন্য একজন বন্দীকেও নিয়োগ করা হবে।

পাশাপাশি, কাছাকাছি সাকিব-তামিম

পাশাপাশি, কাছাকাছি সাকিব-তামিম

একটা সময় একনিঃশ্বাসেই উচ্চারিত হতো দুজনের নাম। দলের অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক ছিলেন। আরও আগে থেকে দলের সবচেয়ে নিয়মিত দুই পারফরমার। মাঠে অনেকটা দলের ভাগ্যনিয়ন্তাও। দলের জয়-হার, ভালো করা-খারাপ করা নির্ভর করত তাঁদের দুজনের ওপর।
সেই দিনগুলো পেছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। দলে এখন অনেক পারফরমার। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের জীবনের বাঁক আর দলে ভূমিকাও গেছে বদলে। সাকিব ক্রমেই ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকে। অলরাউন্ডারদের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে চূড়ায় উঠেছেন। ক্রিকেট-বিশ্ব দাপিয়ে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের মুখ। সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনও। তামিম এখনো দলে অপরিহার্য এক নাম, দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। কিন্তু প্রতিভা-সামর্থ্য অনুযায়ী আজ তাঁর পরিচয় হয়ে ওঠার কথা ছিল দেশের অবিসংবাদিত সেরা ব্যাটসম্যান, বিশ্বসেরাদের একজন। সাকিবের মতো চূড়ায় না হোক, অন্তত থাকার কথা ছিল চূড়ার কাছাকাছি।
সেটা কেন পারেননি, কিংবা সম্ভাবনা ফুরিয়ে যায়নি, এসব আরেকটি আলোচনার বিষয়। তবে একটা জায়গায় আজ, কিংবা শিগগিরই আবার পাশাপাশি বসতে যাচ্ছে সাকিব ও তামিমের নাম। সেটির জন্য সাকিবের চাই ৬৪ রান আর তামিমের ৯৫। তাহলেই ওয়ানডেতে দুজনের রান হয়ে যাবে ৪ হাজার। বলার অপেক্ষা রাখছে না, বাংলাদেশের আর কেউ ৪ হাজারের খুব কাছে আসতে পারেননি। ৩৪৬৮ রান ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত মোহাম্মদ আশরাফুলের। এই তো সেদিন, এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩ হাজার ছুঁলেন মুশফিক (৩০৩২)। আরও অনেকটা পেছনে থেকে পাঁচে শাহরিয়ার নাফীস (২২০১)। সাকিব-তামিমের একজন তাই নিশ্চিতভাবেই হচ্ছেন প্রথম ৪ হাজারি, আরেকজন দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুজনের আগমন, এগিয়ে চলা প্রায় হাত-ধরাধরি করেই। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন দুজন। ওই বছরই আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে সাকিবের অভিষেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ৫ মাস পর, একই দেশে একই ভেন্যুতে ওয়ানডে দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা তামিমের। অভিষেকে ১ উইকেট নেওয়ার পর অপরাজিত ৩০ করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেছিলেন সাকিব। তামিমের অভিষেকেও জিতেছিল দল, তবে তিনি ফিরেছিলেন মাত্র ৫ রানে।
তামিমের অভিষেকের সময় দলে মোটামুটি থিতু হয়ে গেছেন সাকিব, তত দিনে খেলেছেন ১৬ ম্যাচ। তামিম অভিষেকে ভালো না করলেও প্রতিভায় আস্থা রেখে পাঠানো হয়েছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে। ওই বিশ্বকাপেই তামিম বিশ্বকে জানিয়েছিলেন নিজের আগমনী বার্তা। ভারতের বিপক্ষে সেই খুনে ফিফটি ছিল তাঁর পঞ্চম ওয়ানডে। মজার ব্যাপার, সাকিবও প্রথম ওয়ানডে ফিফটি পেয়েছিলেন পঞ্চম ম্যাচে!
এরপর দুজন এগিয়েছেন পাশাপাশি। ১৯তম ইনিংসে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পান সাকিব, তামিম ২৭তম ইনিংসে। ৩৭ ইনিংসে হাজার রান হয়েছিল তামিমের, সাকিবের লেগেছিল ১ ইনিংস বেশি। দুই হাজার ছোঁয়ার সময় তামিমের (৭০) চেয়ে এক ইনিংস কম লেগেছিল সাকিবের (৬৯)। আড়াই হাজার যেতে যেতে আবার খানিকটা এগিয়ে যান তামিম। ৮৬ ইনিংস লেগেছিল তাঁর, সাকিবের ৯১। তিন হাজার ছুঁতেও তামিমের (১০২) লেগেছিল সাকিবের (১০৫) চেয়ে কম ইনিংস।
সাড়ে তিন হাজারে গিয়ে দেখা হয়ে যায় দুজনের, দুজনই ১১৯ ইনিংসে! এরপর তামিমের বেশ কবার চোট, সাকিবের চোট, বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞা—সব মিলিয়ে দুজনই নানা সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। এই সিরিজের শুরুতে দুজনের সামনেই ৪ হাজার ছোঁয়ার হাতছানি। প্রথম ম্যাচে ১০১ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব ফিরেছেন প্রথম বলে। প্রথম ম্যাচে ৫ রানে ফিরে যাওয়া তামিম পরের ম্যাচে করেছেন ৭৬। তামিম আজ খেলবেন ১৩২ নম্বর ইনিংস, ব্যাটিং পেলে সাকিব ১৩৩ নম্বর। আজ হোক বা পরশু কিংবা সিরিজের শেষ ম্যাচে...অথবা পরে, ৪ হাজার হবেই দুজনের। আবার একনিঃশ্বাসে উচ্চারিত হবে দুজনের নাম। অন্তত একটি জায়গায়।
হবেই যখন, আজই হোক না!

মেসির নতুন ইতিহাস

মেসির নতুন ইতিহাস

তিন দিন আগেই স্প্যানিশ ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা আবারও নিজেকে ইতিহাসের অংশ বানালেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে। 
ইতিহাস গড়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক স্প্যানিশ গ্রেট রাউল গঞ্জালেসকে। কাল রাতে অ্যাপোয়েলের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি মাঠে নেমেছিলেন ৭১ গোল সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু মাঠে নেমে দারুণ এক হ্যাটট্রিকে প্রমাণ করেন ইউরোপ-সেরা হওয়ার এই প্রতিযোগিতায় নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার পথেই আছেন তিনি।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটেই রাউলের ৭১ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান মেসি। ৬৮ মিনিটে এগিয়ে যান আরও। ৮৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নিজের ৭৪তম গোলের ইতিহাস গড়েন মেসি। 
মেসির এই রেকর্ড অন্য একটি দিক দিয়েও অনন্য। রাউল যেখানে তাঁর ৭১ গোলের রেকর্ড গড়তে ১৪২টি ম্যাচ খেলেছিলেন, সেখানে মেসি তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন মাত্র ৯২ ম্যাচেই। ৭০ গোল নিয়ে মেসির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও ইতিমধ্যে খেলে ফেলেছেন ১০৭ ম্যাচ। খুব শিগগির হয়তো মেসিকে ছাড়িয়ে যাবেন রোনালদো। কিন্তু ম্যাচের সংখ্যার দিক দিয়ে এক অনন্য স্থানেই অবস্থান করবেন আর্জেন্টাইন তারকা। এই রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার মতো আপাতত কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
ম্যাচ শেষে নতুন রেকর্ড নিয়ে মেসি উচ্ছ্বসিত হলেও তা ছিল পরিমিত। প্রতিক্রিয়াটা ছিল বেশ গতানুগতিকই। বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো এত বড় প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারাটা খুব আনন্দের, অবশ্যই গর্বের। কিন্তু মূল বিষয়টা হলো এই ম্যাচে আমরা পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছি এবং জিতেছি।’
মেসির রেকর্ড গড়ার দিন অ্যাপোয়েলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এই ম্যাচে মেসির রেকর্ডের পাশাপাশি সমর্থকদের জন্য সুখবর হয়ে এসেছে লুইস সুয়ারেজের গোল।

দুপুর পর্যন্ত দেড় শতাধিক পথচারীকে জরিমানা

দুপুর পর্যন্ত দেড় শতাধিক পথচারীকে জরিমানা



পদচারী সেতু ও পাতালপথ ব্যবহার না করে রাস্তা পার হওয়া ঠেকাতে আজ বুধবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বসেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিয়ম অমান্য করায় বেলা দেড়টা পর্যন্ত দেড় শতাধিক পথচারীকে জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উদ্যোগে রাজধানীর রূপসী বাংলা মোড় থেকে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত এ অভিযান চলছে। পদচারী সেতু ও পাতালপথ ব্যবহার না করে রাস্তা পার হওয়া ঠেকাতে আজ সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বসেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: জাহিদুল করিমঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কুদ্দুস ও সারওয়ার আলম এই আদালত পরিচালনা করছেন। সকালে একটি আদালত বসেছেন বাংলামোটর মোড়ে। অন্যটি বসেছেন হোটেল সোনারগাঁও মোড়ে।
 

জিম্বাবুয়েকে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জ

জিম্বাবুয়েকে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জ

এনামুল হকের ৯৫ আর তামিম ইকবালের ৪০ রানের যুক্ত হলো মিডল অর্ডারের দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ আর সাব্বির রহমান—প্রত্যেকেই খেললেন প্রত্যাশামতো। সবার মিলিত প্রয়াসে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ​বড় সংগ্রহই গড়ে তুলেছে টাইগার-বাহিনী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯৭ রান তুলে এলটন চিগুম্বুরার দলকে ছুঁড়ে দেওয়া গেছে বেশ বড় চ্যালেঞ্জই।

মন্ত্রী-এমপিদের এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মন্ত্রী-এমপিদের এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঈদের পর বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, প্রধান বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে সারা দেশে ঈদের পর একযোগে আন্দোলনের যে ঘোষণা দিয়েছে তা ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সরকারি চাকরিজীবীরা যাতে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারে সে জন্য সব জেলার প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ১২ ও ১৩ আগস্টের জামায়াতের ডাকা হরতাল যাতে সফল না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। দলীয় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে বলা হয়েছে। এছাড়া দলীয় অন্তর্কোন্দল ও দ্বন্দ্ব মেটাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে টুইটারে হুমকি দেয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। বিচারপতি এম মোয়াজ্জম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এ রায়কে কেন্দ্র করে ঈদের পর জামায়াত ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতালের ডাক দিয়েছে।

বেনজির হত্যা মামলায় মোশাররফ অভিযুক্ত

বেনজির হত্যা মামলায় মোশাররফ অভিযুক্ত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির আদালত। সরকারি আইনজীবীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার মোশাররফকে দোষী সাব্যস্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর ২০০৭ সালে ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বেনজির ভুট্টো আততায়ীদের হামলায় নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সহায়তার জন্য মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পারভেজ মোশাররফ। ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

১৯ এপ্রিল থেকে পারভেজ মোশাররফকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

‘পদ্মা সেতুর খুব একটা অগ্রগতি নেই’

‘পদ্মা সেতুর খুব একটা অগ্রগতি নেই’



 যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর খুব একটা অগ্রগতি নেই। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীকে স্থানীয় পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জাজিরা পয়েন্টে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবল এবং  যন্ত্রপাতির যোগান দেয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই মাওয়া পয়েন্টের সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথাগুলো বলেন।

যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ২১টি সড়কের অবস্থা খারাপ। শান্তি চুক্তির আওতায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এসব সড়ক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হলেও এসব সড়কের অবস্থা বেহাল বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পার্বত্য সড়ক মেরামতকরণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকা সড়কগুলো যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নিতে আগ্রহী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় তিন পার্বত্য জেলার সড়কগুলো  এবং বিআরটিএর জেলা অফিসসমূহ জেলা পরিষদের কাছে ১ জুলাই থেকে হস্তান্তরিত হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি চুক্তির খসড়া পাঠায়। যা ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক চুক্তি করতে হবে।

পদ্মা সেতু বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সেতুর জন্য মূল অবকাঠামো নির্মাণে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনেছে এবং ১১টি প্রতিষ্ঠান পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেতে দরপত্র কিনেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কারিগরি কমিটি যাচই-বাছাই কাজ শেষে করবে।

ধানমণ্ডিতে শিবিরের ঝটিকা মিছিল : ভাংচুর-ককটেল বিস্ফোরণ

ধানমণ্ডিতে শিবিরের ঝটিকা মিছিল : ভাংচুর-ককটেল বিস্ফোরণ 


  রাজধানীর ধানম-ি থানাধীন আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের সামনে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে যানবাহন ভাংচুর  ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ করিম জাস্ট নিউজকে বলেন, শিবিরের ১৫/২০ জনের একটি দল ঝটিকা মিছিল বের করে আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের সামনে ৩ নম্বর থেকে ৫ নম্বর রোডের মধ্যবর্তী এলাকায় আচমকা বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাংচুর চালায়। ৪/৫ মিনিটের ভাংচুর শেষে তারা পুলিশ আসার আগেই ২/৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি এবং যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকায় আফ্রিদির বুটিক হাউস

ঢাকায় আফ্রিদির বুটিক হাউস


শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ঢাকা শাখার  নিজস্ব বুটিক হাউজের উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি।

সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে ইদিয়ানের হাতে তৈরি পোশাকের প্রদর্শনী করেছেন এই তারকা। জমকালো এক ফ্যাশন শোর মাধ্যমে ইদিয়ান ঢাকায় পথচলা শুরু করলো আজ।

২০১১ সালে পাকিস্তানের করাচিতে দ্য ফ্যাশন ভ্যালি স্লোগানে নিজস্ব বুটিক হাউস ‘ইদিয়ান’ প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ আফ্রিদি। নিজের দেশে এই প্রতিষ্ঠানের পোশাক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় বাংলাদেশে এর শাখা খুলছেন আফ্রিদি। এ কারনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার ঢাকায় এসেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আফ্রিদি বলেন, ‘ক্রিকেটই আমার মূল পেশা । ওটাকেই আমি সবার আগে প্রাধান্য দিই। ফ্যাশন পার্শ্ব পেশা। আমার ছোট ভাই এর দেখাশোনা করছে। বাংলাদেশে শাখা খেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউক্রেন, কাতারসহ কয়েকটি দেশে ইদিয়ানের শাখা খোলা হয়েছে। এখন বাংলাদেশেও শাখা খোলা হলো। ক্রিকেট খেলার সুবাদে বেশ কয়েকবার এসেছি বাংলাদেশে। এই দেশকে ভালো লেগেছে, দেশের মানুষকে ভালো লেগেছে।”

নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে আফ্রিদি জানান, তার প্রত্যাশা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ খেলার পর অবসর নেবেন। অনুষ্ঠান শেষে ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের করাচিতে ২০১১ সালে ইদিয়ানের যাত্রা শুরু হয়।

আশরাফুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আশরাফুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ

কের পর এক দুঃসংবাদ আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের নক্ষত্র্য মোহাম্মাদ আশরাফুলের জন্য। আগেই সব ধরনের ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি, এবার জব্দ করা হলো তার ব্যাংক হিসাব। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, আয়কর অধ্যাদেশের বিশেষ ধারা অনুসারে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাড়ি, রেস্টুরেন্ট ব্যবসাসহ আশরাফুলের বৈধ আয় বছরে দেড় কোটি টাকা। তবে যেহেতু ম্যচ ফিক্সিংয়ে জড়িত তিনি তাই এনবিআরের ধারণা এর চেয়েও অনেক বেশি আয়  তার। কেননা জুয়াড়িরা টাকা শোধ করে হুন্ডির মাধ্যমে। অন্য নামেও ঢাকার বাইরে তাই আশরাফুলের জমি কিনে রাখার সন্দেহ করছে এনবিআর। থাকতে পারে বিদেশে গোপন অ্যাকাউন্টও। তাই আপাতত সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলে আশরাফুলের রাজস্ব সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে কোন গড়মিল হলে জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে আশরাফুলকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফুল বলেন, বিভিন্ন মিডিয়া থেকে এ নিয়ে ফোন করা হচ্ছে আমাকে। তবে এনবিআর থেকে আমাকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।


বৈধভাবে উপার্জনে দেশের সবচেয়ে ধনি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার আয় ব্যায়ের হিসাবও। দেশের অন্য ক্রিকেটারদেরও আয়কর ও আয় ব্যায়ের হিসাব যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর, একটি সূত্র এমন আভাস দিয়েছে।

টি-২০ বিশ্বকাপের বিকল্প ভেন্যুও বাংলাদেশ

টি-২০ বিশ্বকাপের বিকল্প ভেন্যুও বাংলাদেশ


সিলেট: সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ কাজে দেরি হলে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ভারত নয়, বাংলাদেশের ভেতরেই অন্য ভেন্যু পছন্দ করা হবে। আইসিসিকে এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি।
সোমবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
নাজমুল হাসান জানান, আগস্ট মাসে আইসিসি প্রতিনিধি দলের সফরের ওপর ভাগ্য ঝুলে আছে সিলেট ও কক্সবাজার স্টেডিয়ামের। ওইসময় প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা সিলেট ও কক্সবাজারেই হবে। সফরের সময় আইসিসি প্রতিনিধি দল দেখবে, স্টেডিয়ামের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে কি না।
তিনি বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে। তবে আমরা দেরি করে ফেলেছি। বিশ্বকাপের জন্য আরও চার মাস আগে কাজ শুরু করা উচিত ছিল।

পাপন জানান, ৭ আগস্ট আইসিসি প্রতিনিধি দল সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম সফর করবে। এজন্য যে গতিতে কাজ চলছে তাতে চলবে। তবে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। বাড়তি জনবল নিয়োগ করলে ভালো হবে।

‘জামায়াত-হেফাজত কি মানুষ না?’

‘জামায়াত-হেফাজত কি মানুষ না?’



 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ইনু সাহেব বলেছেন অধিকার জামায়াত-হেফাজতের মানবাধিকার রক্ষা করছে। জামায়াত-হেফাজতের কি মানবাধিকার নেই? তারা কি মানুষ না? তাদেরও তো মানবাধিকার আছে। বুয়েট পড়ুয়া ইনু সাহেব কি মানবাধিকারের সংজ্ঞা জানেন না? গতরাতে চ্যানেল আই’র গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় এ টকশোতে আসিফ নজরুল আরও বলেন, একজন সিরিয়াল কিলারেও মানবাধিকার থাকে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সিরিয়াল খুনিদের পক্ষেও অবস্থান নেয়। হেফাজত-জামায়াত কোনো অন্যায় করলে অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তাই বলে তাদের মানবাধিকার নেই, সে কথা তো বলা যাবে না। তিনি বলেন, কথায় কথায় যাকে ইচ্ছা তাকে জামায়াত বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় আর ভবিষ্যতে জামায়াত তাণ্ডব চালায় তখন আজকে যারা বড় বড় কথা বলছেন সেদিন তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেদিন এই আসিফ নজরুল ও আদিলুর রহমানরাই তাণ্ডবের  প্রতিবাদ করবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের জন্য সমস্যাটা হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতে সঙ্গে যাদের কোনো রকম সম্পৃক্ততা নেই যারা প্রগতিশীল রাজনীতিক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত যেমন সুলতানা কামাল, টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান, ড. শাহদিন মালিক, জেড আই খান পান্না, হামিদা হোসেন তারা সবাই এ ঘটনার নিন্দা করছেন এবং আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এর নিন্দা জানিয়েছে। সরকারে ক্ষতি হলো, সবার কাছেই সরকার নিন্দনীয় হলেন।