ফিরিয়ে নেওয়া হলো মেসির সেই হলুদ কার্ড
শুধু ভালো ফুটবলারই নন, তাঁর ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডও ভীষণ ভালো। গত মৌসুমে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে যেমন হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মাত্র দুটি। মেসির কার্ড দেখাটা তাই তাঁর ভক্তদের কাছে এক রকম অচেনা দৃশ্য। ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে মেসির হলুদ কার্ডটি তো আরও বড় বিস্ময় হয়ে এল। কারণ সেই ম্যাচে গ্যালারি থেকে ছুড়ে মারা প্লাস্টিকের বোতল মেসির মাথায় এসে আঘাত করেছিল। উল্টো সেই মেসিই খেলেন হলুদ কার্ড। আহতও হলেন, হলুদ কার্ডও দেখলেন—এ তো বড় অন্যায়!
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মেসির ক্রস থেকে গোলটা করেছিলেন সার্জিও বুসকেটস। এ কারণে মেসির ওপর ভ্যালেন্সিয়া-সমর্থকদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। হয়তো এ কারণেই লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন মেসি। ঝাল মেটাতেই তাঁর দিকে ছুড়ে মারা হয়েছিল বোতল। ব্যথায় মাথায় হাত বোলাচ্ছিলেন মেসি। কিন্তু রেফারি বিষয়টি অতটা লক্ষ করেননি। তিনি ভেবেছেন, ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করছেন বার্সা তারকা। এ কারণে দেখিয়ে দিয়েছিলেন হলুদ কার্ড।
এমনিতে একটা হলুদ কার্ড খুব বেশি কোনো ক্ষতির কারণ নয়। লিগের নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখলেই তবে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। কিন্তু একে তো অন্যায্য হলুদ কার্ড, তার ওপর খেলোয়াড়টা মেসি। তাই কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বার্সেলোনা। এই হলুদ কার্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। প্রথম দফায় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও দ্বিতীয় দফায় বার্সার যুক্তি মেনেও নিয়েছেন লা লিগার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে মেসির সেই হলুদ কার্ডটি।
এটি অবশ্য নিশ্চিত নয়, ওই বোতলটিই মেসিকে আঘাত করেছিল কি না। বোতলটি দৃশ্যমান হলেও অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো দর্শকের ছুড়ে মারা কয়েনও মেসিকে আঘাত করে থাকতে পারে। ম্যাচ শেষে চিকিৎসকের শুশ্রূষাও নিতে হয়েছে মেসিকে। তবে আঘাতটি তেমন গুরুতর কিছু নয়।
No comments:
Post a Comment