Saturday, December 6, 2014

ব্যালন ডি’অর মিডিয়া সার্কাস!

ব্যালন ডি’অর মিডিয়া সার্কাস!



ব্যালন ডি’অর নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই ফুটবল কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের। হতেই পারে! কিন্তু সাবেক এই ডাচ গ্রেট ব্যালন ডি’অরকে এমন অভিধায় অভিহিত করেছেন, যা এই প্রশ্ন তুলে দেয় এই পুরস্কারের নির্ভরযোগ্যতা নিয়েই। তিনি বলেছেন, ‘মিডিয়া সার্কাস ছাড়া আর কিছুই নয় এই ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াটিই নাকি তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি নিজে তাঁর ক্যারিয়ারে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনবার। কিন্তু এই পুরস্কারটি তাঁকে কোনোভাবেই উদ্বেলিত করে না। ক্রুইফের মতে, ‘এই পুরস্কারটি একটা বড় ধরনের নাটকের মঞ্চায়ন। এই পুরস্কার আমাকে আলোড়িত করে না এর ভোটাভুটির প্রক্রিয়ার কারণে।’
ভোটাভুটির ব্যাপারে নিজের আপত্তির ব্যাপারটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্রুইফ, ‘জনপ্রিয়তার মাপকাঠিই এই পুরস্কারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার। মাঠের খেলা যা-ই হোক, প্রত্যেকেই নিজের পছন্দের খেলোয়াড়কে অন্ধের মতো ভোট দিয়ে যায়। এখানে জনপ্রিয়তার ব্যাপারটিই প্রধান। এই ভোট একসঙ্গে করে ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে নির্বাচন করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি ঠিক নয়। এ কারণেই এটি পরিণত হয় মিডিয়া সার্কাসে। আর যার থাক। আমার এই পুরস্কারে কোনো আস্থা নেই। বছরান্তে এই পুরস্কারটি কে পাচ্ছে, এ নিয়েও কোনো আগ্রহ নেই।’

নতুন ছাঁটে ধোনি

নতুন ছাঁটে ধোনি


চুলের একই স্টাইল বেশি দিন পছন্দ করেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এক রকম চুলের ছাঁট ছিল ভারত অধিনায়কের। কিন্তু কাল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে দেখা গেল সম্পূর্ণ নতুন চেহারায়। একেবারে ছোট করে ছাঁটা চুলে, যদিও অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ধোনির খেলা নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি৷ মঙ্গলবার কোহলি না ধোনি কে টস করবেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা। আঙুলের চোটের জন্য ধোনিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে রাখেননি জাতীয় নির্বাচকেরা৷ প্রথম টেস্টের অধিনায়ক করা হয়েছিল বিরাট কোহিলকে৷ কিন্তু ফিল হিউজের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পিছিয়ে যায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট৷ শুধু তা-ই নয়, ব্রিসবেনের বদলে প্রথম টেস্ট হচ্ছে অ্যাডিলেডে। সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় প্রথম টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাচ্ছেন ধোনি৷ তবে খেলবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ 

বাউন্সার হোক প্রথম বলেই

বাউন্সার হোক প্রথম বলেই




একটা বাউন্সার থামিয়ে দিয়েছে ফিল হিউজের জীবনের ইনিংস। সিডনি ক্রিকেট মাঠে সেদিন শন অ্যাবটের বাউন্সারে হিউজ চোট পাওয়ার পর থেকে শুরু করে তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। না, অ্যাবটকে দায়ী করছেন না কেউ। কিন্তু যে বাউন্সার এমন প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সেটার ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় কি না, এমন আলোচনাও হচ্ছে। হিউজের মৃত্যুর পর তাঁকে সম্মান জানাতে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে একটাও বাউন্সার দেননি নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। কিন্তু এমন গুমোট পরিবেশ ক্রিকেটের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয় বলে মনে করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার মার্ভ হিউজ। বাউন্সারকে দূরে সরিয়ে রেখে নয়, বরং বাউন্সার দিয়েই ক্রিকেটে আবার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মার্ভ হিউজ বলেছেন, ‘১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটে বাউন্সার দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি যে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যতক্ষণ না আবার একজন বোলার বাউন্সার দেবে, তার আগ পর্যন্ত এই থমথমে পরিবেশটা থেকেই যাবে। আমি মনে করি, এটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচের প্রথম বলেই বাউন্সার দেওয়া উচিত। বলা উচিত, চলো শুরু করি আগের মতো খেলা।’ হিউজের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক মার্ক ওয়াহও, ‘আমারও মনে হয় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এটা ভালো উপায়। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট থেকেই এটা শুরু হোক।’
আগামী ৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার থেকে শুরু এ টেস্টের জন্য এরই মধ্যে অ্যাডিলেড পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া দল। প্রয়াত ফিল হিউজের পারিবারিক একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ম্যাকসভিলে থাকায় দলের অন্যদের সঙ্গে অ্যাডিলেড যেতে পারেননি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তবে কাল তিনিও যোগ দিয়েছেন অন্যদের সঙ্গে। অবশ্য অ্যাডিলেডেই ক্লার্ক খেলবেন কি না, এটা নিশ্চিত নয় এখনো। আজ ফিটনেস পরীক্ষায় বসতে হবে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে। সে পরীক্ষায় উতরাতে পারলে তবেই দলে থাকবেন তিনি। যদিও তাঁর বিকল্প হিসেবে এরই মধ্যে শন মার্শকেও দলে ডাকা হয়েছে। 

যেখানে লর্ডসের চেয়ে এগিয়ে ঢাকার মাঠ

যেখানে লর্ডসের চেয়ে এগিয়ে ঢাকার মাঠ


ক্রিকেটের সূতিকাগার লর্ডস। ক্রিকেটের ‘মক্কা’ হিসেবেও এই মাঠকে অভিহিত করেন অনেকে। কিন্তু লন্ডনের সেন্ট জোনস উডে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক ক্রিকেট ভ্যেনু কিন্তু একটি ব্যাপারে অনেকটাই পিছিয়ে আছে ঢাকার ক্রিকেট মাঠের চেয়ে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের দিক দিয়ে লর্ডসের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে ঢাকা। ব্যাপারটা অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্যি। ক্রিকেট ইতিহাসে লর্ডস যতোগুলি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করেছে ঢাকার দুটি ভ্যেনু-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও শেরেবাংলা স্টেডিয়াম সম্মিলিতভাবে তারচেয়ে আয়োজন করেছে ৮৫টি বেশি ম্যাচ। আলাদা আলাদাভাবেও ঢাকার এই দুটি ক্রিকেট ভ্যেনু এ​কদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে পেছনে ফেলেছে লর্ডসকে। লর্ডসে এখনো পর্যন্ত যেখানে আয়োজিত হয়েছে ৫৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ, সেখানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম আয়োজন করেছে তারচেয়ে ২টি বেশি— ৫৯টি ম্যাচ। মাত্র ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভ্যেনু হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ​শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম আয়োজনের দিক দিয়ে লর্ডসের চেয়ে এগিয়ে আছে অনেকটাই। গত আট বছরে মোট ৮৩টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান পীঠস্থান এই ভ্যেনুর। ঢাকার দুটি ভ্যেনুতে এখনো পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে আয়োজিত হয়েছে মোট ১৪২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। 
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জন্ম কিন্তু অনেক আগেই। সেই ১৯৫৫ সালে। একাত্তর-পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানের সাতটি টেস্টম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ এই মাঠে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ১৬ বছরের মাথায় প্রথম আয়োজিত হয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী দিনে এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল জাভেদ মিয়াঁদাদের পাকিস্তান ও রঞ্জন মাদুগালের শ্রীলঙ্কা। সেবার এশিয়া কাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎ​কালীন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম)। বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে মর্যাদা না থাকায়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এর পরের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি আয়োজিত হতে লেগে যায় পাক্কা দশটি বছর। ১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে আবারও গড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ততোদিনে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা না পেলেও হাতে পেয়ে গেছে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার স্বীকৃতি।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এখন ফুটবলের১৯৯৮ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের পদভারে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মাঠ। আটানব্বই সালে এই মাঠেই মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে মাঠে নেমেছিল পৃথিবীর সবকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ। এই রেকর্ড আর বিশ্বের আর অন্য কোনো ভ্যেনুর আছে কিনা, সেটা ঘেঁটে দেখতে পারেন পরিসংখ্যানবিদেরা। ২০০৫ সালের ১ মার্চ থেকে এই মাঠ পুরোপুরি চলে গেছে বাংলাদেশের ফুটবলের মালিকানা। তবে ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট-নস্টালজিয়ায়। 
লর্ডস অনেক পুরোনো মাঠ হলেও এখানে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রথম মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৭২ সালে। সে বছরের ২৬ আগস্ট ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি ছিল লর্ডসের মাঠে আয়োজিত প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। এরপর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এই মাঠে মোট ৫৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। তবে এই মাঠ গর্ব করতে পারে ওয়ানডে বিশ্বকাপের চারটি ফাইনাল আয়োজন করে। এমন গৌরব নেই পৃথিবীর আর কোনো মাঠেরই।
মূলত ফুটবলের জন্য নির্মিত ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ক্রিকেটকে দিয়ে দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। পুনর্নিমাণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির পর এই মাঠে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়ায় ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর। জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া এই ভ্যেনুতে আয়োজিত সর্বশেষ একদিনের ম্যাচটিও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের। গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মাঠে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে মোট ৮৩টি। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ এই মাঠকে এনে দেয় অন্যস্তরের মর্যাদা।
বঙ্গবন্ধু ও শেরেবাংলাকে বাদ দিলে বাংলাদেশের আরও তিনটি ভ্যেনু সমৃদ্ধ হয়েছে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের পীঠস্থান এখন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম১৯৮৮ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে একদিনের ক্রিকেটের পথচলা। মাত্র ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেই ২০০৬ সালে এই মাঠ বরণ করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পরিণতি। চলে যায় ফুটবলের দখলে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হওয়া একই শহরের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এখনো পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছে ১৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম ভ্যেনু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বাংলাদেশের দ্বিতীয়-সেরা ভ্যেনুর মর্যাদা পেয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আয়োজিত হয়েছে ৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০০৬ সালে ২টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয়ই হয়ে আছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম।

গিনেস রেকর্ড চান শ্রদ্ধা

গিনেস রেকর্ড চান শ্রদ্ধা



অভিষেকেই ঝড় তুলে দিয়েছিলেন বক্স অফিসে। ভেঙেছেন বেশ কিছু রেকর্ডও। তবে নিজের জন্য নয়, শ্রদ্ধা কাপুর গিনেস বিশ্ব রেকর্ড চাইছেন বাবার জন্য। বাবা শক্তি কাপুর সাত শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন বলে অনুমান শ্রদ্ধার। যেটি আর কেউ করেননি বলে মনে করেন শ্রদ্ধা। এ কারণেই শ্রদ্ধা মনে করেন, তাঁর বাবার নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে শ্রদ্ধা বলেছেন, ‘বাবা সাত শর বেশি ছবি করেছেন। এটা অবশ্যই ব্যতিক্রম। গিনেস থেকে তাঁর একটা সার্টিফিকেট পাওয়া উচিত।

পুরোপুরি মুক্ত সাকিব

পুরোপুরি মুক্ত সাকিব




গত ৭ জুলাই যে শেকল পরানো হয়েছিল, সেটি থেকে এখন পুরোপুরি মুক্ত সাকিব আল হাসান। গত মঙ্গলবার বিসিবিপ্রধান যেভাবে বলেছিলেন, তাতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই বাকি ছিল। কাল সেটিও হয়ে গেল। সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে কাল রাতে বিমানবন্দরে বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান জানালেন, সাকিবের বিদেশি লিগে খেলার নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে।
শৃঙ্খলাভঙ্গের বেশ কিছু অভিযোগে গত জুলাইয়ে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। পরে সাকিবের আবেদনের পর গত ২৬ আগস্ট কমানো হয় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবার ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। কিন্তু বিদেশি লিগে খেলার নিষেধাজ্ঞা বহালই ছিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারেননি। কাল বিমানবন্দরে নাজমুল হাসান বললেন, ‘সাকিবের আচরণ ও পারফরম্যান্স, সবকিছুতেই বোর্ড সন্তুষ্ট। তাই তুলে নেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।’
তবে পরশুই ঘরোয়া লিগের ম্যাচে আম্পায়ারকে অশালীন কথা বলে সাকিবের ১০ হাজার টাকা জরিমানা হওয়ার প্রসঙ্গটিও বলেছেন বোর্ডপ্রধান। সাকিবকে আরও একবার সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে এমন হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর শাস্তি হতে পারে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আসন্ন বিগ ব্যাশে খেলতে আর বাধা থাকল না সাকিবের। দু-এক দিনের মধ্যে জানা যেতে পারে কোন দলে খেলবেন এই অলরাউন্ডার।
বিমানবন্দরে এই কথোপকথনে উঠে এসেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবের কর্ণধার লুৎফর রহমানের অভিযোগ ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গও। নাজমুল হাসান বললেন, ‘আমি এখনো পুরোটা পড়িনি উনি কী বলেছেন। তবে যতটুকু শুনেছি, কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে বলতে পারেন বলে জানা নেই আমার। যা-ই হোক, ক্রিকেটে উন্নতির পথে যতগুলো বিষফোড়া আছে, সব সরিয়ে ফেলা হবে।’

বার্সা মেসির কাছে এখন ‘একঘেয়ে’!

বার্সা মেসির কাছে এখন ‘একঘেয়ে’!


ছয়টি লিগ, দুটি কোপা ডেলরে, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, এ ছাড়া এক মৌসুমে শিরোপা ষষ্টক জয়—ক্লাব ফুটবলে একজন খেলোয়াড়ের যত শিরোপা জেতা সম্ভব, বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি সবগুলোই জিতেছেন। এর পরও একজন খেলোয়াড় আর কীভাবে অনুপ্রাণিত হতে পারেন নতুন করে শিরোপা জিততে? সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পল স্কোলস তাই বলছেন, বার্সার হয়ে নতুন করে শিরোপা জেতার উৎসাহ খুঁজে পাওয়া মেসির জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সার ম্যাচটি দেখতে এসেছিলেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার স্কোলস। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে সার্জিও বুসকেটসের গোলে ম্যাচটা জিতলেও মেসিদের খেলায় মনে ভরেনি স্কোলসের। সাবেক ইউনাইটেড তারকার মনে হয়েছে, তাদের খেলার মধ্যে ‘কিছু একটা ছিল না’। তাঁর সবচেয়ে বড় উপলব্ধি, সেই আগের উদ্দীপনা অনুপস্থিত লিওনেল মেসির মধ্যে। মেসির মধ্যে তিনি ‘ক্লান্তিকর একঘেয়ে’র একটা অবসাদ দেখেছেন।
স্কোলসের মতে, এত এত সাফল্য পাওয়া মেসির জন্য বার্সার হয়ে নতুন করে শিরোপা জেতার উৎসাহ পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে! আসলে একের পর এক অর্জনগুলো মেসিকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডেপেনডেন্ট–এ লেখা কলামে স্কোলস লিখেছেন, ‘তার মধ্যে আমি উদাসী মনোভাব দেখলাম। দল বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে ফুলব্যাকের পিছু পিছু ছুটবে এমন খেলোয়াড় মেসি কখনোই ছিল না। কিন্তু এখন আরও বেশি অর্থাৎ যতটুকু না দৌড়ালেই নয়, ততটুকুই সে দৌড়াচ্ছে।’
মেসিকে উদ্বুদ্ধ করতে এ পর্যায়ে লুইস এনরিকের কী করণীয়? স্কোলসের মতে, ‘নবীন কোচ হিসেবে মেসি ও দলের অন্য তারকাদের বদলানো হবে খুব কঠিন কাজ। কারণ, তারা সব শিরোপা জিতে ফেলেছ। তারা ছিল সর্বজয়ী।’ স্কোলস বলেছেন, এখন এনরিকের উচিত হবে বার্সার খেলোয়াড়দের এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে উজ্জীবিত করা, তার সময়টা বার্সার জন্য নতুন একটা অধ্যায়। এ সময় আবারও সব নতুন করে জেতাটাই নতুন চ্যালেঞ্জ।

Friday, December 5, 2014

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অরিজিৎ সিং এখন ঢাকায়

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অরিজিৎ সিং এখন ঢাকায়


ঢাকায় এলেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অরিজিৎ সিং। এরই মধ্যে নিজের ফেসবুক পেজে ঢাকা আসার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন এ শিল্পী। কনসার্টে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার দর্শকদের।
আজ দুপুরে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন তিনি। কাল শুক্রবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজিত ‘অলিটালিয়া অরিজিৎ সিং লাইভ’ শিরোনামের একটি কনসার্টে গান গাইবেন সময়ের আলোচিত এ শিল্পী। কনসার্টের আয়োজন করেছে ইমেকার্স।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইমেকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম আশরাফ জানান, অরিজিত সিং মঞ্চে ওঠার আগে বাংলাদেশি শিল্পীদের কিছু পরিবেশনা আছে। এর মধ্যে মডেল আনিকা কবির শখ, অভিনয়শিল্পী নিরব ও মেহজাবিন নাচ করবেন। আর গান করবে ব্যান্ডদল শিরোনামহীন, গায়ক ইমরান, নির্ঝর, কর্নিয়া ও রেশমি।
আয়োজকরা ধারণা করছেন, ১০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এ বছরের সবচেয়ে সফল কনসার্ট হবে এটি। কনসার্টটি উপভোগ করতে আগ্রহীদের অনলাইনে টিকিট বরাদ্দ নিতে হবে। আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানটি কখনো টিভিতে প্রচার হবে না।
কনসার্টে দুই-আড়াই ঘণ্টা গান গেয়ে শোনাবেন অরিজিৎ সিং। তার পরিবেশনায় থাকবে ‘তুম হি হো’ (আশিকি ২), ‘মুসকুরানে’ (সিটি লাইটস), ‘কাভি জো বাদল বারসে’ (জ্যাকপট), ‘হামদর্দ’ (এক ভিলেন), ‘সামঝাওয়া’ (হ্যাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া), ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ও ‘নারে না’ (বোঝে না সে বোঝে না), ‘কী করে তোকে বলব’ (রংবাজ), ‘সারাটা দিন’ এবং ‘আমি তোমার কাছে’ (যোদ্ধা) শীর্ষক গানগুলো।
এরই মধ্যে কনসার্টটির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজকেরা। আয়োজকেরা জানান, কনসার্টটি বিকেল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কনসার্ট শেষ করে পরের দিন মুম্বাই ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের।

হঠাৎ মৌসুমী

হঠাৎ মৌসুমী


রাত ১১টা। ট্রেন এসে দাঁড়াল কমলাপুর রেলস্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। ট্রেন থেকে নেমে এলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী স্বয়ং। অসংখ্য মানুষের ভিড় ঠেলে এগোতে লাগলেন তিনি। ঠিক ওই সময় পরিচালক বলে উঠলেন ‘কাট’। থেমে গেলেন তিনি। এমন একটি দৃশ্য ধারণ দিয়ে শুরু হলো নতুন ছবি রাত্রির যাত্রীর শুটিং। ১ ডিসেম্বর রাতে এর দৃশ্য ধারণ শুরু হয়। এক রাতের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন হাবিবুল ইসলাম। মৌসুমী ছাড়াও অভিনয় করেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান, আনিসুর রহমান মিলন, সালাহউদ্দিন লাভলু, অরুণা বিশ্বাস, মারজুক রাসেল, সোনিয়া হোসেন, সুজাত শিমুলসহ অনেকে।

সেরা যৌন আবেদনময়ী প্রিয়াঙ্কা!

সেরা যৌন আবেদনময়ী প্রিয়াঙ্কা!



কয়েকদিন ধরেই নানা কারণে খবরে শিরোনাম হচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মুম্বাইয়ে তার বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্পা-র আড়ালে যৌন ব্যবসায় চালাচ্ছেন এক ব্যবসায়ী। এটা নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। তবে এরই মধ্যে আজ একটি ভালো খবরই পেলেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী!
হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এ বছর এশিয়ার সেরা যৌন আবেদনময়ী নারী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালেও এই মুকুট পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৩ সালে তাঁর কাছ থেকে এ শিরোপা কেড়ে নেন অপর বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ইস্টার্ন আই’ এশিয়ার সেরা লাস্যময়ীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় সবার ওপরে আছেন ৩২-বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
মুকুট ফিরে পেয়ে উজ্জীবিত প্রিয়াঙ্কা গণমাধ্যমকে জানান, ‘আবার এই সম্মান পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। জনমতের ভিত্তিতে এই নির্বাচন হওয়ায় এটা আরও বেশি তৃপ্তিদায়ক। সবাইকে অনেক অনেক ভালবাসা।’
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা যৌন আবেদনময়ী হয়েছেন ভারতের ছোট পর্দার দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী দ্রাষ্টি ধামী এবং সানায়া ইরানি। ধুম থ্রি তারকা ক্যাটরিনা কাইফ এবার হয়েছেন চতুর্থ। সম্প্রতি ‘ছোট পোশাক’ পরায় এক দর্শকের চড় খাওয়া রিয়েলিটি শো তারকা গৌহর খান আছেন পাঁচে।

প্রিয়াঙ্কা-ক্যাটরিনা ছাড়া আর যে সকল বলিউড অভিনেত্রী এ তালিকায় আছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দীপিকা পাড়ুকোন (৬), কারিনা কাপুর (৮), সোনম কাপুর (৯), শ্রদ্ধা কাপুর (১৭), আলিয়া ভাট (২৪), অনুষ্কা শর্মা (৪৭) প্রমুখ।

প্রিয়াংকার বাড়ি ভাড়া করে যৌন ব্যবসা!

নতুন বিপাকে সালমান!

নতুন বিপাকে সালমান!


ভালোই বিপাকে পড়েছেন সালমান খান। গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার মামলাটা বেশ ভোগাচ্ছে তাঁকে। মাস ছয়েক আগে এ মামলার দুই সাক্ষী জানিয়েছিলেন, মুম্বাইতে ২০০২ সালে দুর্ঘটনার সময় সালমান মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এবার একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান জানালেন, দুর্ঘটনার পর সালমানের রক্তে ৬২ মিলিগ্রাম অ্যালকোহলের অস্তিত্ব ধরা পড়ে, যেখানে অনুমতিযোগ্য মাত্রা ৩০ মিলিগ্রাম। 
গতকাল বুধবার ওই ল্যাব টেকনিশিয়ান মুম্বাই সেশন কোর্টকে জানান, দুর্ঘটনার পর অ্যালকোহল পরীক্ষায় উতরাতে পারেননি সালমান। তাঁর রক্তে অনুমতিযোগ্য অ্যালকোহলের মাত্রার দ্বিগুণ পরিমাণ অ্যালকোহলের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।
সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মদ খেয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাত তিনটার দিকে বান্দ্রার আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির সামনে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা পাঁচজন হতদরিদ্র মানুষকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান সালমান। তাঁর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির চাপায় একজন নিহত ও চারজন আহত হন। অবশ্য সালমানের পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি চালকের আসনে ছিলেন না। 
মামলার সাক্ষী বলিউডের অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের ভাই চিকি পাণ্ডে মুম্বাই সেশন কোর্টের বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপাণ্ডের কাছে দাবি করেছিলেন, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি (সালমান) মদ খেয়েছিলেন বলে মনে হয়নি। এ প্রসঙ্গে চিকি পাণ্ডের ভাষ্য ছিল, ‘পরদিন সকাল নয়টায় আমি সালমানের বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করি। আমি তাঁকে আলিঙ্গনও করি। কিন্তু মদের গন্ধ পাইনি।’

চিকি পাণ্ডে আরও জানান, দুবাই থেকে আমদানি করা একটি গাড়ি কেনার জন্য তিনি সালমানকে সাহায্য করেন। ওই গাড়িতে চাপা পড়েই হতাহতের ঘটনা ঘটে। গাড়ির মালিক ছিলেন আবদুল রেহমান। তাঁকে ১২ লাখ ও দুই লাখ রুপির দুটি চেক দিয়ে গাড়িটি নেন সালমান। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় তখনো গাড়ির মালিক হিসেবে আবদুল রেহমানের নামই ছিল।
গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ হত্যার মামলায় সালমানের বিচারকার্যক্রম শুরু হয় ২০০৫ সালে। বেপরোয়া ও অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে রায় দেওয়া হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(১) ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মাত্র দুই বছরের কারাদণ্ড।
পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে সালমানকে কঠোর সাজা দেওয়ার দাবি তোলা হয় মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে মামলার বিচারকার্যক্রম আবার শুরু হয়। যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর গত বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারায় সালমানের সাজা হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানো হয় আদালতের পক্ষ থেকে। গুরুতর এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। বিষয়টি জানার পরপরই আপিল করেন সালমান। কিন্তু তাঁর আপিল খারিজ করে দিয়ে মুম্বাই সেশন কোর্টের বিচারক ইউবি হেজিব সাফ জানিয়ে দেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারাতেই সালমানের বিচারকার্যক্রম চলবে।

সানির পেছনে ক্যাটরিনা-দীপিকা

সানির পেছনে ক্যাটরিনা-দীপিকা


বুম তারকা ক্যাটরিনা কাইফ ও গোলিও কি রাসলীলা: রাম-লীলা তারকা দীপিকা পাড়ুকোনের মতো আবেদনময়ী অভিনেত্রীদের পেছনে ফেললেন জিসম ২ তারকা সানি লিওন। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের বিং ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, এ বছর বলিউডের তারকাদের মধ্যে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে সানি লিওনকে। এই দৌড়ে তিনি সালমান খান ও হৃতিক রোশনের মতো প্রভাবশালী অভিনেতাদেরও পেছনে ফেলেছেন।
বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের পেছনে ফেলে তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছেন সানি লিওন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে ক্যাটরিনা ও দীপিকা। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।
তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রী, গায়িকা ও সাবেক বিশ্ব সুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেরা পাঁচের শেষ জায়গাটি পেয়েছেন দাবাং তারকা সালমান খান।

তালিকায় সেরা দশে ঠাঁই পাওয়া অন্য তারকাদের মধ্যে রয়েছেন যথাক্রমে কারিনা কাপুর খান, প্রীতি জিনতা, আলিয়া ভাট, হৃতিক রোশন ও পরিনীতি চোপড়া।
আরও পড়ুন
নিঃসঙ্গ সানি লিওন!

ভোল পালটাচ্ছেন সানি লিওন!

ফিরিয়ে নেওয়া হলো মেসির সেই হলুদ কার্ড

ফিরিয়ে নেওয়া হলো মেসির সেই হলুদ কার্ড


শুধু ভালো ফুটবলারই নন, তাঁর ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডও ভীষণ ভালো। গত মৌসুমে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে যেমন হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মাত্র দুটি। মেসির কার্ড দেখাটা তাই তাঁর ভক্তদের কাছে এক রকম অচেনা দৃশ্য। ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে মেসির হলুদ কার্ডটি তো আরও বড় বিস্ময় হয়ে এল। কারণ সেই ম্যাচে গ্যালারি থেকে ছুড়ে মারা প্লাস্টিকের বোতল মেসির মাথায় এসে আঘাত করেছিল। উল্টো সেই মেসিই খেলেন হলুদ কার্ড। আহতও হলেন, হলুদ কার্ডও দেখলেন—এ তো বড় অন্যায়!
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মেসির ক্রস থেকে গোলটা করেছিলেন সার্জিও বুসকেটস। এ কারণে মেসির ওপর ভ্যালেন্সিয়া-সমর্থকদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। হয়তো এ কারণেই লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন মেসি। ঝাল মেটাতেই তাঁর দিকে ছুড়ে মারা হয়েছিল বোতল। ব্যথায় মাথায় হাত বোলাচ্ছিলেন মেসি। কিন্তু রেফারি বিষয়টি অতটা লক্ষ করেননি। তিনি ভেবেছেন, ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করছেন বার্সা তারকা। এ কারণে দেখিয়ে দিয়েছিলেন হলুদ কার্ড।
এমনিতে একটা হলুদ কার্ড খুব বেশি কোনো ক্ষতির কারণ নয়। লিগের নিয়ম অনুযায়ী কোনো খেলোয়াড় পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখলেই তবে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। কিন্তু একে তো অন্যায্য হলুদ কার্ড, তার ওপর খেলোয়াড়টা মেসি। তাই কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি বার্সেলোনা। এই হলুদ কার্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে। প্রথম দফায় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও দ্বিতীয় দফায় বার্সার যুক্তি মেনেও নিয়েছেন লা লিগার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে মেসির সেই হলুদ কার্ডটি।
এটি অবশ্য নিশ্চিত নয়, ওই বোতলটিই মেসিকে আঘাত করেছিল কি না। বোতলটি দৃশ্যমান হলেও অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো দর্শকের ছুড়ে মারা কয়েনও মেসিকে আঘাত করে থাকতে পারে। ম্যাচ শেষে চিকিৎসকের শুশ্রূষাও নিতে হয়েছে মেসিকে। তবে আঘাতটি তেমন গুরুতর কিছু নয়।

অ্যাবট ফিরবেন তো?

অ্যাবট ফিরবেন তো?
শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের পরবর্তী ম্যাচ কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী মঙ্গলবার। ম্যাচটি আবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে, যেখানে ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অ্যাবট এই ম্যাচে খেলবেন কি না, এ নিয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। তাঁর খেলা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু জোনস জানালেন, পুরো সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে অ্যাবটের ওপরই। জোনস বললেন, ‘সে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সবাই তা-ই। সে কি চাচ্ছে, বিষয়টি তার ওপরই নির্ভর করছে। ফলে সিদ্ধান্তটা তাকেই নিতে দিন।’
ডেইলি মেইল অবশ্য নিশ্চিত করে বলছে, এই ম্যাচে অ্যাবটের ফেরার সম্ভাবনা নেই। তবে শুধু অ্যাবটের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা, তাঁর না–থাকাটা যেন শুধু এই ম্যাচের জন্যই হয়। যেন তিনি এর পরের ম্যাচটাতেই আবার মাঠে ফেরেন। যদিও অনেকেই সন্দিহান, আদৌ তিনি আগের মতো মাঠে ফিরতে পারবেন কি না। মানসিক চিকিৎসকদের অভিমত, আসলে এত দ্রুত সবকিছু ভোলা সম্ভব নয়। অনুশীলন, প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফিরতে সতীর্থদের সহায়তা এখানে ভীষণ প্রয়োজন। দুঃসহ স্মৃতি ভোলার সবচেয়ে ভালো উপায়, খেলা থেকে দূরে না থাকা। খেলার ব্যস্ততাই পারে শোকের সবচেয়ে ভালো দাওয়াই হতে।
অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব ট্রমা ট্রিটমেন্টের পরিচালক মাইকেল বার্জ বললেন, ‘আসলে আমি বলব না খেলা থেকে খেলোয়াড়েরা দূরে থাক। এটি কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে, তাদের উচিত বিষয়টি এভাবে নেওয়া। খেলা থেকে দূরে থাকা যাবে না, যেটা তারা কয়েক সপ্তাহ ধরে আছে।

Monday, December 1, 2014

ক্রিস্টেনের নিঃসঙ্গতা

ক্রিস্টেনের নিঃসঙ্গতা




তারকাদের চারপাশে অদৃশ্য একটা দেয়াল থাকে। দিন যত যায়, সেই দেয়ালটা ততই বড় হয়। একসময় সেই বৃত্তাকার দেয়ালের ভেতরে সেই তারকা নিজেকে আবিষ্কার করে নিঃসঙ্গতায়। এমনই উপলব্ধি ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের। টোয়ালাইট দিয়ে খুব অল্প বয়সে খ্যাতির চূড়ায় চড়ে বসা এই অভিনেত্রী বলেছেন, তারকারা একসময় বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপ হয়ে যান বাকি সবার কাছ থেকে। ক্রিস্টেন বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীরা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলার অনুমতি পায় না। বড় তারকা বা বিখ্যাত হওয়া মানেই হলো একধরনের নিঃসঙ্গতা।

অরিজিতের সঙ্গে শখ ও নিরব

অরিজিতের সঙ্গে শখ ও নিরব


ঢাকায় আসছেন বলিউডের গায়ক অরিজিৎ সিং। অপেক্ষা মাত্র কয়েক দিনের। এরই মধ্যে নিজের ফেসবুক পেজে ঢাকা আসার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন এ শিল্পী। কনসার্টে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার দর্শকদের। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫ ডিসেম্বর যমুনা ফিউচার পার্কে ঢাকার দর্শকদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে অরিজিৎ সিংয়ের। এদিন সকালেই তিনি ঢাকা আসবেন। বিকেলে গান করবেন ‘অলিটালিয়া অরিজিৎ সিং লাইভ’ শিরোনামের কনসার্টে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইমেকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম আশরাফ জানান, অরিজিৎ সিং মঞ্চে ওঠার আগে বাংলাদেশি শিল্পীদের কিছু পরিবেশনা আছে। এর মধ্যে মডেল শখ, অভিনয়শিল্পী নিরব ও জেবিন নাচ করবেন। 
নিরবআর গান করবে ব্যান্ডদল শিরোনামহীন, গায়ক ইমরান, নির্ঝর, কর্নিয়া ও রেশমি। এরই মধ্যে কনসার্টটির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজকেরা। কনসার্টের টিকিট www.ezzeticket.com এবং ফ্যাশন হাউস এক্সটেসির শোরুমে পাওয়া যাবে।
আয়োজকেরা জানান, কনসার্টটি বিকেল থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। কনসার্ট শেষ করে পরের দিন মুম্বাই ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের।

অন্য রকম ববি

অন্য রকম ববি



নায়িকা হিসেবে তো অনেক হলো। এবার অন্য রকম চরিত্রে অভিনয় করলেন ববি। যা অনেকটা খলনায়িকার মতো। ইফতেখার চৌধুরীর নতুন ছবি ওয়ান ওয়েতে এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ববি। বললেন, ‘আমার কাছে চরিত্রটি অন্য রকম মনে হয়েছে। ছবিতে দেখা যাবে বিদেশ থেকে খবর পাই আমার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে দেশে এসে আমি বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিই। সেটা একটু অন্য রকমভাবে। পর্দায় দর্শকেরা এটা বুঝবেন।’
তিনি জানান, এরই মধ্যে ছবির অর্ধেকেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার শুটিং হয়েছে ওয়ান ওয়ের। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই মুক্তি পাবে ছবিটি।
ববির চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিলের খোঁজ দ্য সার্চ সিনেমার মাধ্যমে। তাঁর আলোচিত ছবির মধ্যে রয়েছে দেহরক্ষী, ফুল অ্যান্ড ফাইনাল, হিরো দ্য সুপারস্টার, ইঞ্চি ইঞ্চি প্রেম, রাজত্ব। আগামী ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি স্বপ্ন ছোঁয়া। ছবিতে সায়মনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ববি।

সংক্ষিপ্ত পোশাকে দেখে গহর খানকে থাপড়

সংক্ষিপ্ত পোশাকে দেখে গহর খানকে থাপড়





বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল গহর খানকে থাপড় মারা ও নিগৃহীত করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল রোববার মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে টেলিভিশনের একটি রিয়ালিটি শোর শুটিং চলাকালে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আকিল মালিক (২৪)। দর্শক হিসেবে রিয়ালিটি শোর শুটিংয়ে এসেছিলেন তিনি।
পুলিশের ভাষ্য, রিয়ালিটি শোর শুটিংয়ে গহরের পোশাক নিয়ে ওই ব্যক্তির আপত্তি ছিল। নাচটিও সস্তা বলে অভিহিত করেন ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক।
গতকাল রাতে ফিল্ম সিটির ৯ নম্বর স্টুডিওতে টেলিভিশনের একটি মিউজিক রিয়ালিটি শোর গ্র্যান্ড ফিনালের শুটিং ছিল। এটির উপস্থাপক ছিলেন গহর। অনুষ্ঠানে দর্শক হিসেবে এসেছিলেন মালিক। এর আগেও তিনি দুই-তিন দিন ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গহরের ওপর নজর রেখেছিলেন মালিক। রাত আটটার দিকে শুটিং শুরু হলে হঠাৎ করে মঞ্চে উঠে যান তিনি। গহরকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন ওই দর্শক। গহর সরে যান এবং বাধা দেন। একপর্যায়ে গহরকে থাপড় মারেন মালিক।
পুলিশ জানিয়েছে, দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁকে আজ সোমবার আদালতে তোলা হবে।

রিয়াল–রথ ছুটছেই

রিয়াল–রথ ছুটছেই

আড়াই মাস আগের পরিস্থিতিটা ভাবলে কার্লো আনচেলত্তি এখনো হয়তো শিউরে ওঠেন। রিয়াল সোসিয়েদাদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে পরপর দুই ম্যাচে হারায় স্রোতের মতো ধেয়ে আসছে সমালোচনার তির। সেই আনচেলত্তির পায়েই এখন লুটাচ্ছে অর্জনের রঙিন ফুল। পরশু যে রেকর্ডটা গড়লেন, সেটা রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে পাকাপাকিভাবেই লিখে রাখবে ইতালিয়ান এই কোচের নাম। ক্লাবকে টানা ১৬ ম্যাচ জেতানোর কীর্তি যে রিয়ালের আর কোনো কোচের নেই!
দুই মাসেরও বেশি এই স্বপ্নযাত্রা ইকার ক্যাসিয়াসেরও যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না, ‘রেকর্ডটা নিয়ে আমরা খুবই খুশি। এটা প্রায় অবিশ্বাস্য যে আমরা দুই মাস হারিনি।’ কিন্তু এই কৃতিত্বের নেপথ্য নায়ক যিনি সেই আনচেলত্তি কী ভাবছেন? রিয়াল কোচের কথা আদ্যন্ত পেশাদারের মতোই, ‘রেকর্ডের জন্য হয়তো কৃতিত্ব পাব, কিন্তু সত্যি বলতে কী এ রকম দুর্দান্ত একটা দলে, দারুণ একঝাঁক খেলোয়াড়কে কোচিং করানোটা ভাগ্যের ব্যাপার।’
পরশু মালাগার সঙ্গে ২-১ গোলের জয়ে অবশ্য একটা ‘নিয়ম’ রক্ষা হয়নি। স্কোরলাইনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম ওঠেনি, এটি বিস্ময় জাগায় বৈকি! এই মৌসুমে লা লিগার প্রতিটি ম্যাচেই গোল পেয়েছেন সিআর সেভেন। পরশু করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলকে দিয়ে দুই গোল করালেও নিজে গোল পাননি। সে জন্য অবশ্য কার্লোস কামেনিকে খানিকটা ‘অভিশাপ’ দিতে পারবেন, রোনালদোকে অন্তত দুবার নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেছেন মালাগা গোলরক্ষক।
গোল না পাওয়ায় খানিকটা হতাশ হতে পারেন, তবে শেষ পর্যন্ত রোনালদো এটাকে খুব বড় করে হয়তো দেখবেন না। আনচেলত্তি এদিন বরং তাঁর তুরুপের তাসের প্রশংসায় একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত, ‘সে দুর্দান্ত খেলেছে, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। তবে এটা ঠিক ওকে গোল করতে দেখে আমরা এতটাই অভ্যস্ত যে ব্যাপারটা একটু অদ্ভুতই মনে হচ্ছে। কিন্তু সে দুটি গোল করিয়েছে, জয়ে বড় অবদান রেখেছে।’

জয়টা এখন আনচেলত্তিকে অনন্য একটা হাতছানি দেখাচ্ছে। এর আগে ১৯৬০-৬১ মৌসুমে মিগুয়েল মুনোজ ও তিন মৌসুম আগে হোসে মরিনহো টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন। পরশু সেটি তো ছাড়িয়ে গেছেনই, আর তিন ম্যাচ জিতলে পেরিয়ে যাবেন ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের স্প্যানিশ রেকর্ডও। অক্টোবর ২০০৫ থেকে জানুয়ারি ২০০৬ পর্যন্ত টানা ১৮ ম্যাচ জিতেছিল রাইকার্ডের বার্সেলোনা। আনচেলত্তির জন্য আশার কথা, পরের তিনটি ম্যাচই রিয়াল খেলবে বার্নাব্যুতে। প্রথমটি তো তৃতীয় বিভাগের দল কর্নেয়ার সঙ্গে কোপা ডেল রেতে, পরেরটিতে প্রতিপক্ষ সেল্টা ভিগো। এরপরের ম্যাচটা চ্যাম্পিয়নস লিগে, প্রতিপক্ষ লুদোগোরেৎস।

সেই পাকিস্তানই মাটিতে

সেই পাকিস্তানই মাটিতে


জীবন ২২ গজি পিচের চিত্রনাট্য নয়। কিন্তু কখনো কখনো সেই পিচেই লেখা হয়ে যায় মৃত্যুর এপিটাফ। এই কদিন শারজায় এই কথাগুলোই হয়তো ঘুরে ঘুরে আসছিল ম্যাককালাম-মিসবাহদের মনে। ফিলিপ হিউজের অকালমৃত্যু পুরো ক্রিকেটকে ঢেকে দিয়েছে শোকের চাদরে। সেই ছায়া পড়েছে শারজাতেও, দুদলের ক্রিকেটাররা পরিমিত উদ্যাপনে, আনন্দ সংবরণে সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। ম্যাককালাম-মিসবাহ পরে বলেছেন, খেলায় মনোযোগ দেওয়া তাঁদের জন্য কতটা কঠিন ছিল। সেই কাজটা পাকিস্তানের চেয়ে নিউজিল্যান্ডই ভালোভাবে করতে পেরেছে, ইনিংস ও ৮০ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজে এনেছে সমতা।
ঠিক যেন রোলার কোস্টারের চিত্রনাট্য অনুসরণ করল সিরিজটা। আবুধাবিতে দুর্দান্ত পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি যে নিউজিল্যান্ড, তারাই দুবাই টেস্ট ড্র করে ফিরে পেল আত্মবিশ্বাস। এতটাই যে, শারজায় তারা সম্পূর্ণ নতুন এক নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন থেকেই নিয়ন্ত্রণ থাকল কিউইদের হাতে, তার পরও চতুর্থ দিনেই জয় পেয়ে যাবেন সেটি বোধ হয় ম্যাককালামও ভাবেননি!
কাল চতুর্থ দিনে পাকিস্তান ট্রেন্ট বোল্টের তোপই সামলাতে পারেনি। দুর্দান্ত এক ওপেনিং স্পেলে পাকিস্তান টপ অর্ডারকে শেষ করে দিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। শান মাসুদকে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে শুরু, নিজের চতুর্থ ওভারে দুর্দান্ত সুইংয়ে বোল্ড করেছেন আজহারকে। এক ওভার পরই আরেকটি দারুণ ইনসুইঙ্গার, এবার এলবিডব্লু ইউনিস খান। ক্যারিয়ারে ১৬তম বারের মতো শূন্যতে আউট ফর্মে থাকা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান কদিনের ব্যবধানে দেখে ফেললেন মুদ্রার উল্টো পিঠটাও!
বোল্টের শুরু করা কাজটা দারুণভাবে সেরেছেন মার্ক ক্রেগ। হাফিজকে নিজের বলেই ক্যাচ নেওয়ার পর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন মিসবাহকে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের এই স্পিনার, কাল ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ একটা কীর্তিও গড়ে ফেললেন—মাত্র তৃতীয় কিউই স্পিনার হিসেবে এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন ক্রেগ। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতেই, মোহাম্মদ হাফিজ হয়েছেন সিরিজ-সেরা।
মিসবাহর বিদায়ের পর ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছিল পাকিস্তান। এরপর পাল্টা-আক্রমণ হানেন আসাদ শফিক। সরফরাজকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মাত্র ১৩ ওভারে। সরফরাজকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন ইশ সোধি, ইয়াসির শাহও তাঁর শিকার। ভেট্টোরির বলে ১৮০ রানে আউট তালহা। তবে নবম উইকেটে রাহাতকে নিয়ে শফিক একাই কচুকাটা করেছেন বোলারদের। ১৩৭ রানের ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ছয়টি। তবে শেষ বিচারে শফিকের ইনিংসটা পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে।
এর আগে তৃতীয় দিনের ৬৩৭-এর সঙ্গে আরও ৫৩ রান যোগ করে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৩৩৯ রানের অগ্রগামিতায় পাকিস্তানের পরাজয়টা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে তখনই।

মাশরাফির সামনে নতুন অধ্যায়

মাশরাফির সামনে নতুন অধ্যায়


দিনটি নিশ্চয়ই ভোলেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা!
৫ অক্টোবর, ২০১০। জীবনের পথচলায় ২৭ পূর্ণ করেছিলেন সেদিন। দিনটি আরও স্মরণীয় হলো, যখন দেশের মাটিতে টস করতে নামলেন প্রথমবার। বাংলাদেশ অধিনায়ক! এক চার ও এক ছক্কায় ১৫ রান করেছিলেন ব্যাটিংয়ে। বোলিংয়ে কেবল শুরু করেছেন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি করতে গিয়ে বেকায়দায় পা ফেলে মচকে ফেললেন অ্যাঙ্কেল। সতীর্থ শফিউল আর ফিজিওর কাঁধে ভর করে মাঠ ছাড়তে হলো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের দারুণ জয় দেখলেন ড্রেসিংরুমে বসে। পরে বললেন, ‘দলের জয়ে নিজের ব্যথা ভুলে গেছি। আমার জন্য এটি জন্মদিনের দারুণ উপহার।’
সেই অম্ল-মধুর স্বাদ পরে সিরিজজুড়েই সঙ্গী হয়েছে মাশরাফির। ওই চোটে সিরিজেই আর ফেরা হয়নি মাশরাফির। মাঠের বাইরে থেকে দেখেছেন ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ে নেতৃত্ব দিলেন সাকিব আল হাসান।
মাশরাফি বা সাকিব, কারও জন্যই অবশ্য অভিজ্ঞতাটি নতুন ছিল না। ওই ঘটনার ১৩ মাস আগে, বাংলাদেশ দল তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। মাশরাফি সেবার প্রথম মেয়াদে অধিনায়ক। সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে বোলিং করতে গিয়ে বেকায়দায় পা ফেলে পড়ে গেলেন। এবার চোট হাঁটুতে, মাঠ ছাড়লেন শাহাদাত ও এনামুল জুনিয়রের কাঁধে ভর দিয়ে। দায়িত্ব নিয়ে টেস্টে তো বটেই, পরে ওয়ানডে সিরিজেও দলকে ধবলধোলাইয়ে নেতৃত্ব দিলেন সাকিব।
অথচ দুবারই ধবলধোলাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়কের নাম হতে পারত মাশরাফি। ব্যাটে-বলে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব, তবে মাশরাফি থাকলে দলের শক্তি বাড়ত বৈ কমত না! বরাবরের মতো ভাগ্য বিদ্রোহ করল বলেই সেই দুবার ধবলধোলাইয়ের গৌরবের পাশে লেখা হলো না মাশরাফির নাম। এরপর যথারীতি অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন মাশরাফি। আরও কয়েকবার চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন, ফিরে এসেছেন আবার লড়াই করে। ক্যারিয়ারজুড়ে ক্রিকেট–বিধাতার নিষ্ঠুর আচরণ পেয়ে আসা মাশরাফি হঠাৎই পেয়েছেন একটু সুনজর। আবার অধিনায়ক হয়েছেন। আজ সুযোগও এসে গেছে দলকে ধবলধোলাইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার। সুযোগ, সেই দুবারের আক্ষেপ ঘোচানোর!
আক্ষেপ! শব্দটা শুনে হাসলেন মাশরাফি। শেষবার চোট থেকে ফেরার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে এই মাশরাফিকে। ক্যারিয়ারটাই তাই হাজারো আক্ষেপের গল্প। আক্ষেপে গাঁথা কষ্টের মালা তাই আর গলায় পরতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বারবার বলছেন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব না মিলিয়ে ক্যারিয়ারের বাকিটা শুধু উপভোগ করতে চান।মাশরাফি বিন মুর্তজা
কালও কণ্ঠে একই কথা। নিজের অর্জনের চেয়ে দলের প্রাপ্তির রোমাঞ্চই বেশি ছুঁয়ে যাচ্ছে মাশরাফিকে, ‘আগে যেটা করতে পারিনি, এখন সেটা পারব বলে যে আলাদা শান্তি পাব, তেমন কিছু আসলে মনে হচ্ছে না। ৫-০ করতে পারলে দলের জন্য দারুণ হয়, সেটিই আছে ভাবনায়। এ বছর আমরা অনেকগুলো মাচ জিততে জিততে হেরে গেছি। একটি জয়ের সুযোগও তাই আর হাতছাড়া করতে চাই না। আর এই যে দল খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে এসেছে, এ জন্য প্রতিটি ক্রিকেটারের আলাদা করে কৃতিত্ব প্রাপ্য। ৫-০ করতে পারলেও কৃতিত্ব সবার প্রাপ্য, শুধু অধিনায়কের নয়।’
ভাগ্যের পালাবদলের পালায় আরেকটি দারুণ প্রাপ্তিও এখন মাশরাফির অপেক্ষায়। দেশের মটিতে গত বিশ্বকাপ খেলতে না পারার যন্ত্রণায় চোখের পানি ঝরিয়েছিলেন সবার সামনেই। এবার যদি দুর্ভাগ্য আবার সঙ্গী না হয়, তবে আসন্ন বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বেই অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। চ্যালেঞ্জ একটিই, নিজেকে ফিট রাখা! মাশরাফিও নিজেকে ফিট রাখতে চান। তবে সেটি অধিনায়কত্বের টানে নয়, দেশের হয়ে খেলার তাড়নায়, ‘অধিনায়কত্বের জন্য আমি কোনো চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি না। নিতে চাই না। চ্যালেঞ্জ নিতে চাই খেলার জন্য। অধিনায়ক রাখা না-রাখা বোর্ডের ব্যাপার। আমি সাধারণ একজন হিসেবে খেলে যেতে পারলেই খুশি।’
দল অন্তঃপ্রাণের কাছ থেকে এমন কথাই কাম্য। কিন্তু ক্রিকেটবিধাতা এত কিছু কেড়ে নিয়েছেন তাঁর কাছ থেকে যে এই প্রাপ্তির হাতছানিগুলোও তাঁর প্রাপ্য। আজ ধবলধোলাইয়ে নেতৃত্ব, কদিন পর দলকে নেতৃত্ব দিন বিশ্বকাপে। মাশরাফির হার না মানা অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ারে যোগ হোক না আরও কিছু চমকপ্রদ অধ্যায়!

বার্সার নাটকীয় জয়

বার্সার নাটকীয় জয়


৯০ মিনিটের খেলা শেষ। অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিটে চলে এসেছে ম্যাচ। গোলশূন্য ড্র-ই বুঝি সম্ভাব্য ফল। কিন্তু হঠাৎ​ই নাটকীয়তা! ঘুমঘুম চোখে যারা খেলাটা দেখছিলেন, নিশ্চিত আচমকা ধড়পড়িয়ে জেগে উঠতে হয়েছে সার্জিও বুসকেটসের গোলে। ওই গোলে ১-০ ব্যবধানে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতেছে বার্সেলোনা।
বার্সা শিবির তখন উদযাপনে মত্ত। ঠিক এ সময় দর্শকের গ্যালারি​ থেকে ছুড়ে মারা হলো একটা বোতল! লাগল লিওনেল মেসির মাথায়! খানিকটা ব্যথা পেলেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড! দর্শক চটল কেন মেসির ওপর? ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দুয়েক আগে স্বাগতিকদের যে ‘সর্বনাশ’টা করলেন বার্সা ফরোয়ার্ড, তাতে ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকদের ‘মেজাজ চড়ে’ যাওয়া কি অমূলক? ১৪ মাস পরে প্রথম গোল করলেন বুসকেটস। তাও আবার জয়সূচক! আর সে গোলের নেপথ্যে যে মেসি।
আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মাপা ক্রসটা হেডে জালে জড়াতে চাইলেন নেইমার। দক্ষতার সঙ্গে সেটা ফিরিয়ে দিলেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক ডিয়েগো আল​ভেজ। বল চলে এল বুসকেটসের পায়ে। অমনি বাঁ পায়ে ভলি! বার্সা মাতল বাঁধনহারা উদযাপনে!
কদিন আগে লিগে সেভিয়াকে ৫-১, চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাপোয়েলকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়া বার্সাকে আজ নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ঠিক সেভাবে দেখা গেলো না। ভ্যালেন্সিয়ার জমাট রক্ষণ ভেদ করা দূরহ কাজ হয়ে উঠল লুইস এনরিকের দলের কাছে। ৫৮ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের লক্ষ্যভ্রষ্ট শট, ৬৬ মিনিটে নেইমারের দুর্বল শট কেবল হতাশাই বাড়িয়েছে বার্সা সমর্থকদের।
তবে ৬৯ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন সুয়ারেজ। গোলটি বাতিল হয় অফসাইডের ফাড়ায় পড়ে। অফসাইডটি আদৌ হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে অবশ্য বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে ভ্যালেন্সিয়া বেশ কবার প্রতিআক্রমণে কাঁপিয়ে তুলেছিল বার্সার রক্ষণভাগ। ক্লদিও ব্রাভোর দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ রক্ষা করেছে এনরিকের দলকে। প্রায় পুরো ম্যাচে মেসি-নেইমারকে দেখা যায়নি স্বরুপে। তবে শেষ মুহূর্তের ওই ঝলকটা হয়তো ভুলিয়ে দেবে অন্যান্য ব্যর্থতাগুলো।
এ জয়ে ১৩ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগে বার্সার অবস্থান দুইয়ে। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।