Saturday, December 6, 2014

ব্যালন ডি’অর মিডিয়া সার্কাস!

ব্যালন ডি’অর মিডিয়া সার্কাস!



ব্যালন ডি’অর নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই ফুটবল কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের। হতেই পারে! কিন্তু সাবেক এই ডাচ গ্রেট ব্যালন ডি’অরকে এমন অভিধায় অভিহিত করেছেন, যা এই প্রশ্ন তুলে দেয় এই পুরস্কারের নির্ভরযোগ্যতা নিয়েই। তিনি বলেছেন, ‘মিডিয়া সার্কাস ছাড়া আর কিছুই নয় এই ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াটিই নাকি তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি নিজে তাঁর ক্যারিয়ারে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনবার। কিন্তু এই পুরস্কারটি তাঁকে কোনোভাবেই উদ্বেলিত করে না। ক্রুইফের মতে, ‘এই পুরস্কারটি একটা বড় ধরনের নাটকের মঞ্চায়ন। এই পুরস্কার আমাকে আলোড়িত করে না এর ভোটাভুটির প্রক্রিয়ার কারণে।’
ভোটাভুটির ব্যাপারে নিজের আপত্তির ব্যাপারটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্রুইফ, ‘জনপ্রিয়তার মাপকাঠিই এই পুরস্কারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার। মাঠের খেলা যা-ই হোক, প্রত্যেকেই নিজের পছন্দের খেলোয়াড়কে অন্ধের মতো ভোট দিয়ে যায়। এখানে জনপ্রিয়তার ব্যাপারটিই প্রধান। এই ভোট একসঙ্গে করে ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে নির্বাচন করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি ঠিক নয়। এ কারণেই এটি পরিণত হয় মিডিয়া সার্কাসে। আর যার থাক। আমার এই পুরস্কারে কোনো আস্থা নেই। বছরান্তে এই পুরস্কারটি কে পাচ্ছে, এ নিয়েও কোনো আগ্রহ নেই।’

নতুন ছাঁটে ধোনি

নতুন ছাঁটে ধোনি


চুলের একই স্টাইল বেশি দিন পছন্দ করেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এক রকম চুলের ছাঁট ছিল ভারত অধিনায়কের। কিন্তু কাল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে দেখা গেল সম্পূর্ণ নতুন চেহারায়। একেবারে ছোট করে ছাঁটা চুলে, যদিও অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ধোনির খেলা নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি৷ মঙ্গলবার কোহলি না ধোনি কে টস করবেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা। আঙুলের চোটের জন্য ধোনিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে রাখেননি জাতীয় নির্বাচকেরা৷ প্রথম টেস্টের অধিনায়ক করা হয়েছিল বিরাট কোহিলকে৷ কিন্তু ফিল হিউজের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পিছিয়ে যায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট৷ শুধু তা-ই নয়, ব্রিসবেনের বদলে প্রথম টেস্ট হচ্ছে অ্যাডিলেডে। সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় প্রথম টেস্টের আগেই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যাচ্ছেন ধোনি৷ তবে খেলবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ 

বাউন্সার হোক প্রথম বলেই

বাউন্সার হোক প্রথম বলেই




একটা বাউন্সার থামিয়ে দিয়েছে ফিল হিউজের জীবনের ইনিংস। সিডনি ক্রিকেট মাঠে সেদিন শন অ্যাবটের বাউন্সারে হিউজ চোট পাওয়ার পর থেকে শুরু করে তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও এ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। না, অ্যাবটকে দায়ী করছেন না কেউ। কিন্তু যে বাউন্সার এমন প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সেটার ওপর আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় কি না, এমন আলোচনাও হচ্ছে। হিউজের মৃত্যুর পর তাঁকে সম্মান জানাতে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে একটাও বাউন্সার দেননি নিউজিল্যান্ডের পেসাররা। কিন্তু এমন গুমোট পরিবেশ ক্রিকেটের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয় বলে মনে করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার মার্ভ হিউজ। বাউন্সারকে দূরে সরিয়ে রেখে নয়, বরং বাউন্সার দিয়েই ক্রিকেটে আবার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
ফক্স স্পোর্টসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মার্ভ হিউজ বলেছেন, ‘১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেটে বাউন্সার দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি যে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যতক্ষণ না আবার একজন বোলার বাউন্সার দেবে, তার আগ পর্যন্ত এই থমথমে পরিবেশটা থেকেই যাবে। আমি মনে করি, এটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচের প্রথম বলেই বাউন্সার দেওয়া উচিত। বলা উচিত, চলো শুরু করি আগের মতো খেলা।’ হিউজের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক মার্ক ওয়াহও, ‘আমারও মনে হয় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এটা ভালো উপায়। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট থেকেই এটা শুরু হোক।’
আগামী ৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার থেকে শুরু এ টেস্টের জন্য এরই মধ্যে অ্যাডিলেড পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া দল। প্রয়াত ফিল হিউজের পারিবারিক একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ম্যাকসভিলে থাকায় দলের অন্যদের সঙ্গে অ্যাডিলেড যেতে পারেননি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তবে কাল তিনিও যোগ দিয়েছেন অন্যদের সঙ্গে। অবশ্য অ্যাডিলেডেই ক্লার্ক খেলবেন কি না, এটা নিশ্চিত নয় এখনো। আজ ফিটনেস পরীক্ষায় বসতে হবে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে। সে পরীক্ষায় উতরাতে পারলে তবেই দলে থাকবেন তিনি। যদিও তাঁর বিকল্প হিসেবে এরই মধ্যে শন মার্শকেও দলে ডাকা হয়েছে। 

যেখানে লর্ডসের চেয়ে এগিয়ে ঢাকার মাঠ

যেখানে লর্ডসের চেয়ে এগিয়ে ঢাকার মাঠ


ক্রিকেটের সূতিকাগার লর্ডস। ক্রিকেটের ‘মক্কা’ হিসেবেও এই মাঠকে অভিহিত করেন অনেকে। কিন্তু লন্ডনের সেন্ট জোনস উডে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক ক্রিকেট ভ্যেনু কিন্তু একটি ব্যাপারে অনেকটাই পিছিয়ে আছে ঢাকার ক্রিকেট মাঠের চেয়ে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের দিক দিয়ে লর্ডসের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে ঢাকা। ব্যাপারটা অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্যি। ক্রিকেট ইতিহাসে লর্ডস যতোগুলি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করেছে ঢাকার দুটি ভ্যেনু-বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও শেরেবাংলা স্টেডিয়াম সম্মিলিতভাবে তারচেয়ে আয়োজন করেছে ৮৫টি বেশি ম্যাচ। আলাদা আলাদাভাবেও ঢাকার এই দুটি ক্রিকেট ভ্যেনু এ​কদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে পেছনে ফেলেছে লর্ডসকে। লর্ডসে এখনো পর্যন্ত যেখানে আয়োজিত হয়েছে ৫৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ, সেখানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম আয়োজন করেছে তারচেয়ে ২টি বেশি— ৫৯টি ম্যাচ। মাত্র ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভ্যেনু হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ​শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম আয়োজনের দিক দিয়ে লর্ডসের চেয়ে এগিয়ে আছে অনেকটাই। গত আট বছরে মোট ৮৩টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান পীঠস্থান এই ভ্যেনুর। ঢাকার দুটি ভ্যেনুতে এখনো পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে আয়োজিত হয়েছে মোট ১৪২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। 
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জন্ম কিন্তু অনেক আগেই। সেই ১৯৫৫ সালে। একাত্তর-পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানের সাতটি টেস্টম্যাচ আয়োজনের অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ এই মাঠে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ১৬ বছরের মাথায় প্রথম আয়োজিত হয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী দিনে এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল জাভেদ মিয়াঁদাদের পাকিস্তান ও রঞ্জন মাদুগালের শ্রীলঙ্কা। সেবার এশিয়া কাপের মোট পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎ​কালীন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম)। বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে মর্যাদা না থাকায়, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এর পরের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি আয়োজিত হতে লেগে যায় পাক্কা দশটি বছর। ১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে আবারও গড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ততোদিনে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা না পেলেও হাতে পেয়ে গেছে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার স্বীকৃতি।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এখন ফুটবলের১৯৯৮ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের পদভারে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মাঠ। আটানব্বই সালে এই মাঠেই মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে মাঠে নেমেছিল পৃথিবীর সবকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ। এই রেকর্ড আর বিশ্বের আর অন্য কোনো ভ্যেনুর আছে কিনা, সেটা ঘেঁটে দেখতে পারেন পরিসংখ্যানবিদেরা। ২০০৫ সালের ১ মার্চ থেকে এই মাঠ পুরোপুরি চলে গেছে বাংলাদেশের ফুটবলের মালিকানা। তবে ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট-নস্টালজিয়ায়। 
লর্ডস অনেক পুরোনো মাঠ হলেও এখানে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রথম মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৭২ সালে। সে বছরের ২৬ আগস্ট ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি ছিল লর্ডসের মাঠে আয়োজিত প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। এরপর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এই মাঠে মোট ৫৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। তবে এই মাঠ গর্ব করতে পারে ওয়ানডে বিশ্বকাপের চারটি ফাইনাল আয়োজন করে। এমন গৌরব নেই পৃথিবীর আর কোনো মাঠেরই।
মূলত ফুটবলের জন্য নির্মিত ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ক্রিকেটকে দিয়ে দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। পুনর্নিমাণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির পর এই মাঠে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গড়ায় ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর। জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া এই ভ্যেনুতে আয়োজিত সর্বশেষ একদিনের ম্যাচটিও বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের। গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মাঠে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে মোট ৮৩টি। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ এই মাঠকে এনে দেয় অন্যস্তরের মর্যাদা।
বঙ্গবন্ধু ও শেরেবাংলাকে বাদ দিলে বাংলাদেশের আরও তিনটি ভ্যেনু সমৃদ্ধ হয়েছে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের পীঠস্থান এখন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম১৯৮৮ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে একদিনের ক্রিকেটের পথচলা। মাত্র ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেই ২০০৬ সালে এই মাঠ বরণ করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পরিণতি। চলে যায় ফুটবলের দখলে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হওয়া একই শহরের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এখনো পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছে ১৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম ভ্যেনু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বাংলাদেশের দ্বিতীয়-সেরা ভ্যেনুর মর্যাদা পেয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আয়োজিত হয়েছে ৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০০৬ সালে ২টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয়ই হয়ে আছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম।

গিনেস রেকর্ড চান শ্রদ্ধা

গিনেস রেকর্ড চান শ্রদ্ধা



অভিষেকেই ঝড় তুলে দিয়েছিলেন বক্স অফিসে। ভেঙেছেন বেশ কিছু রেকর্ডও। তবে নিজের জন্য নয়, শ্রদ্ধা কাপুর গিনেস বিশ্ব রেকর্ড চাইছেন বাবার জন্য। বাবা শক্তি কাপুর সাত শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন বলে অনুমান শ্রদ্ধার। যেটি আর কেউ করেননি বলে মনে করেন শ্রদ্ধা। এ কারণেই শ্রদ্ধা মনে করেন, তাঁর বাবার নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে শ্রদ্ধা বলেছেন, ‘বাবা সাত শর বেশি ছবি করেছেন। এটা অবশ্যই ব্যতিক্রম। গিনেস থেকে তাঁর একটা সার্টিফিকেট পাওয়া উচিত।

পুরোপুরি মুক্ত সাকিব

পুরোপুরি মুক্ত সাকিব




গত ৭ জুলাই যে শেকল পরানো হয়েছিল, সেটি থেকে এখন পুরোপুরি মুক্ত সাকিব আল হাসান। গত মঙ্গলবার বিসিবিপ্রধান যেভাবে বলেছিলেন, তাতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই বাকি ছিল। কাল সেটিও হয়ে গেল। সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে কাল রাতে বিমানবন্দরে বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান জানালেন, সাকিবের বিদেশি লিগে খেলার নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে।
শৃঙ্খলাভঙ্গের বেশ কিছু অভিযোগে গত জুলাইয়ে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। পরে সাকিবের আবেদনের পর গত ২৬ আগস্ট কমানো হয় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবার ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। কিন্তু বিদেশি লিগে খেলার নিষেধাজ্ঞা বহালই ছিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারেননি। কাল বিমানবন্দরে নাজমুল হাসান বললেন, ‘সাকিবের আচরণ ও পারফরম্যান্স, সবকিছুতেই বোর্ড সন্তুষ্ট। তাই তুলে নেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।’
তবে পরশুই ঘরোয়া লিগের ম্যাচে আম্পায়ারকে অশালীন কথা বলে সাকিবের ১০ হাজার টাকা জরিমানা হওয়ার প্রসঙ্গটিও বলেছেন বোর্ডপ্রধান। সাকিবকে আরও একবার সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে এমন হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর শাস্তি হতে পারে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আসন্ন বিগ ব্যাশে খেলতে আর বাধা থাকল না সাকিবের। দু-এক দিনের মধ্যে জানা যেতে পারে কোন দলে খেলবেন এই অলরাউন্ডার।
বিমানবন্দরে এই কথোপকথনে উঠে এসেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবের কর্ণধার লুৎফর রহমানের অভিযোগ ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গও। নাজমুল হাসান বললেন, ‘আমি এখনো পুরোটা পড়িনি উনি কী বলেছেন। তবে যতটুকু শুনেছি, কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে বলতে পারেন বলে জানা নেই আমার। যা-ই হোক, ক্রিকেটে উন্নতির পথে যতগুলো বিষফোড়া আছে, সব সরিয়ে ফেলা হবে।’

বার্সা মেসির কাছে এখন ‘একঘেয়ে’!

বার্সা মেসির কাছে এখন ‘একঘেয়ে’!


ছয়টি লিগ, দুটি কোপা ডেলরে, তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, এ ছাড়া এক মৌসুমে শিরোপা ষষ্টক জয়—ক্লাব ফুটবলে একজন খেলোয়াড়ের যত শিরোপা জেতা সম্ভব, বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি সবগুলোই জিতেছেন। এর পরও একজন খেলোয়াড় আর কীভাবে অনুপ্রাণিত হতে পারেন নতুন করে শিরোপা জিততে? সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পল স্কোলস তাই বলছেন, বার্সার হয়ে নতুন করে শিরোপা জেতার উৎসাহ খুঁজে পাওয়া মেসির জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সার ম্যাচটি দেখতে এসেছিলেন সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার স্কোলস। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে সার্জিও বুসকেটসের গোলে ম্যাচটা জিতলেও মেসিদের খেলায় মনে ভরেনি স্কোলসের। সাবেক ইউনাইটেড তারকার মনে হয়েছে, তাদের খেলার মধ্যে ‘কিছু একটা ছিল না’। তাঁর সবচেয়ে বড় উপলব্ধি, সেই আগের উদ্দীপনা অনুপস্থিত লিওনেল মেসির মধ্যে। মেসির মধ্যে তিনি ‘ক্লান্তিকর একঘেয়ে’র একটা অবসাদ দেখেছেন।
স্কোলসের মতে, এত এত সাফল্য পাওয়া মেসির জন্য বার্সার হয়ে নতুন করে শিরোপা জেতার উৎসাহ পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে! আসলে একের পর এক অর্জনগুলো মেসিকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডেপেনডেন্ট–এ লেখা কলামে স্কোলস লিখেছেন, ‘তার মধ্যে আমি উদাসী মনোভাব দেখলাম। দল বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে ফুলব্যাকের পিছু পিছু ছুটবে এমন খেলোয়াড় মেসি কখনোই ছিল না। কিন্তু এখন আরও বেশি অর্থাৎ যতটুকু না দৌড়ালেই নয়, ততটুকুই সে দৌড়াচ্ছে।’
মেসিকে উদ্বুদ্ধ করতে এ পর্যায়ে লুইস এনরিকের কী করণীয়? স্কোলসের মতে, ‘নবীন কোচ হিসেবে মেসি ও দলের অন্য তারকাদের বদলানো হবে খুব কঠিন কাজ। কারণ, তারা সব শিরোপা জিতে ফেলেছ। তারা ছিল সর্বজয়ী।’ স্কোলস বলেছেন, এখন এনরিকের উচিত হবে বার্সার খেলোয়াড়দের এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে উজ্জীবিত করা, তার সময়টা বার্সার জন্য নতুন একটা অধ্যায়। এ সময় আবারও সব নতুন করে জেতাটাই নতুন চ্যালেঞ্জ।